বাংলাহান্ট ডেস্ক: টলিউডের উপরে হিন্দি ছবির চাপ। হিট হওয়া বাংলা ছবি কলকাতারই প্রেক্ষাগৃহ থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে ড়ল মালিকদের। তার বদলে সেখানে চালাতে বলা হচ্ছে বলিউড (Bollywood) ছবি। খাস কলকাতায় বাংলা ছবির এমন হাল দেখে বিস্মিত হল মালিকরা।
বিতর্ক বেঁধেছে বাংলা ছবি ‘লক্ষ্মী ছেলে’ (Lokkhi Chele) এবং হিন্দি ছবি ‘ব্রহ্মাস্ত্র’কে (Brahmastra) নিয়ে। আগে মুক্তি পাওয়া লক্ষ্মী ছেলে বিতর্কের মাঝেও ভাল ব্যবসা করছে, দর্শকও টানছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক মুক্তিপ্রাপ্ত ব্রহ্মাস্ত্র বলিউডের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ব্যবসা করছে। এমন অবস্থায় কলকাতার নামী প্রেক্ষাগৃহ প্রিয়া সিনেমার কর্ণধার সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবি করেছেন, ব্রহ্মাস্ত্র চালানোর জন্য লক্ষ্মী ছেলেকে হল থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রিয়া সিনেমার কর্ণধার অরিজিৎ দত্ত দাবি করেছেন, একটি বাংলা প্রযোজনা সংস্থা তাদের বলিউড রিলিজের জন্য বাংলা ছবিকে সরিয়ে দিতে চাপ দিচ্ছে হল মালিকদের। এমনকি আগামী সপ্তাহের রিলিজও বাতিল করার জন্য বলা হচ্ছে। প্রযোজনা সংস্থার নাম না নিলেও বাংলা ছবিটি যে লক্ষ্মী ছেলে সেকথা উল্লেখ করেছেন অরিজিৎ দত্ত।
সংবাদ মাধ্যমকে তিনি জানান, ওই বাংলা প্রযোজনা সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল, যদি বাংলা ছবিটি সরিয়ে দেওয়া হয় তবে তাদের বলিউড ছবি ব্রহ্মাস্ত্র দেওয়া হবে। তবে যদি ব্রহ্মাস্ত্র এ সপ্তাহ থেকেই চালাতে হয় তাহলে সমস্ত শো দিতে হবে। আগামী সপ্তাহেও একটি বাংলা ছবির জায়গায় শো চাওয়া হয় ব্রহ্মাস্ত্রর। বাধ্য হয়েই না বলেন অরিজিৎ দত্ত।
কোনো প্রযোজনা সংস্থাকে দায়ী না করলেও নবীনা সিনেমার কর্ণধারও জানান, তাদের সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। তিনটি শর্ত চাপানো হয়েছিল বলে জানান প্রেক্ষাগৃহের কর্ণধার। টিকিটের দাম অত্যন্ত বেশি করে দিতে হবে। দু সপ্তাহ সমস্ত শো দিতে হবে ব্রহ্মাস্ত্রকে। এমনকি মাল্টিপ্লেক্সের তুলনায় সিঙ্গল স্ক্রিন নবীনার কাছে বেশি লভ্যাংশের পার্সেন্টেজ চাওয়া হয়েছে বলেও দাবি করেছেন কর্ণধার। তিনিও বাধ্য হয়ে তাই না বলেছেন ব্রহ্মাস্ত্রকে।
যদিও অভিযুক্ত প্রযোজনা সংস্থার অন্যতম কর্ণধার মহেন্দ্র সোনি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন অভিযোগ। তাঁর পালটা দাবি, বিষয়টা একেবারেই উলটো। কোনো প্রযোজনা সংস্থাই হল মালিকদের উপরে চাপ সৃষ্টি করতে পারে না।