বাংলাহান্ট ডেস্ক : হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ডের রিপোর্ট জমা দিয়েছে বিজেপির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। সেই রিপোর্টে বারবার রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করার কথাই বলা হয়েছে। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা এই রিপোর্ট জমা দেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার কাছেই। তাঁর নির্দেশে এবার মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হতে চলেছেন তামিলনাড়ুর বিধায়ক তথা মহিলা মোর্চার সর্বভারতীয় সভানেত্রী বনথি শ্রীনিবাসন এবং ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী।
হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। ঘটনার মূল অভিযুক্ত শাসকদল ঘনিষ্ঠ হওয়ায় আরও বেশি করে সোচ্চার হয় বিরোধীরা। মাঠে নেমে প্রতিবাদ শুরু করে বিজেপি শিবির। গঠন করা হয় ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি। দিন চারেক আগেই জেপি নাড্ডার কাছে রিপোর্ট জমা দেয় সেই কমিটি। সেই রিপোর্টে অবশ্য শাসকদলের বিরুদ্ধে তেমন কোনওই অভিযোগ তুলে ধরা সম্ভব হয়নি। অভিযুক্ত শাসকদল ঘনিষ্ঠ হলেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাকে। পুরো ঘটনার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে সেই অর্থে কোনও রকম গলদ খুঁজে না পেয়ে হাঁসখালির ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং রিপোর্টে রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির কথা লিখল ওই টিম।
রিপোর্টটিতে হাঁসখালির প্রসঙ্গ খানিক এড়িয়েই গিয়ে রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা এবং রাষ্ট্রপতি শাসনের উপর জোর দেওয়া হয়। ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটির সদস্যরা রিপোর্টে লেখেন, ‘বাংলায় রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হোক। রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক। বাড়ছে অপরাধ। তাই ৩৫৫ এবং ৩৫৬ ধারা কার্যকরী করা অত্যন্ত প্রয়োজন।’ যদিও কোনও কিছুরই কোনও কারণ বা ব্যাখ্যা, কোনওটিই উল্লেখ করা হয়নি সেই রিপোর্টে।
সেখানে আরও লেখা হয়, ‘পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে নির্যাতিতার পরিবার ন্যায়বিচার পাবে না। কারণ, অভিযুক্ত তৃণমূল কংগ্রেস নেতার ছেলে। মুখ্যমন্ত্রী এই ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। অভিযুক্তদের রাজ্যের বাইরে অন্য কোনও জেলে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন। কারণ পশ্চিমবঙ্গে অভিযুক্ত জেলের ভিতর থেকেও সাক্ষী এবং তথ্যপ্রমাণ প্রভাবিত করতে পারে।’
এই রিপোর্টটির প্রেক্ষিতে ওই কমিটিকে মানবাধিকার কমিশনে যাওয়ার নির্দেশ দেন জেপি নাড্ডা। সেই নির্দেশ মতই এই ঘটনার রেশ টেনে সোমবারই মানবাধিকার কমিশনের দ্বারস্থ হবেন বিজেপির প্রতিনিধিরা। হাঁসখালি ধর্ষণ কাণ্ডে কী প্রতিক্রিয়া দেয় মানবাধিকার কমিশন এখন সেটাই দেখার।