বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি, নদীয়ার হাঁসখালি ধর্ষণকাণ্ড নিয়ে বিতর্ক ছড়িয়েছে গোটা দেশে। নাবালিকা কিশোরীর মৃত্যু এবং তারপর এই প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিতর্কিত বক্তব্য এবং পুলিশের হাত থেকে হাইকোর্টের তদন্ত ভার সিবিআইকে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে শোরগোল পড়েছে গোটা রাজ্যে।
আর এই সকল বিতর্ক মাঝেই এদিন মারা যাবার দশ দিনের মাথায় পারলৌকিক কাজ হওয়ার কথা ছিল নাবালিকাটির। কিন্তু যে পুরোহিতের উপস্থিতিতে এই কাজ হওয়ার কথা, তিনি এদিন ছিলেন গরহাজির। ফলে স্বভাবতই হতাশ হয়ে পড়েন কিশোরীর পরিবার। তবে বর্তমানে পাওয়া খবর অনুযায়ী, রানাঘাট থেকে পুরোহিত ও নাপিত এনে শেষ মুহূর্তে নাবালিকার পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন হয়। আর কাজের দায়িত্ব নেন স্থানীয় সিপিএম নেতারা। তাদের সৌজন্যেই এদিন শেষপর্যন্ত শান্তিতে শেষ হয় কিশোরীর পারলৌকিক ক্রিয়া।
এদিন অসুস্থ শরীর নিয়েই কোনোমতে মেয়ের পারলৌকিক কাজের আয়োজন করেন তার বাবা-মা। কিন্তু মাঝপথে বেঁকে বসে পুরোহিত। তাই শেষপর্যন্ত সিপিএম নেতাদেরই এগিয়ে আসতে হয়। এ বিষয়ে নদিয়া জেলার সিপিএম সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “এখানে মানবিকতা ও সহমর্মিতা বড় কথা। আমরা সেটাই করছি।” কাজ শেষ হওয়ার পর নির্যাতিতার পরিবারের মুখে তাদের প্রশংসাও শোনা যায়।
প্রসঙ্গত, পুরো ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তি এবং শাসক দলের নেতাদের দ্বারা পুরোহিতকে ভয় দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। নাবালিকার পারলৌকিক কাজের দিন অবশ্য শেষ মুহূর্তে পুরোহিত কেন উপস্থিত হলেন না, সে বিষয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলতে আরম্ভ করে। স্বভাবতই, প্রথমে এই ঘটনায় ভেঙে পড়েন নির্যাতিতার বাবা।
তিনি এদিন বলেন, “আজ ওর মৃত্যুর দশম দিন থাকায় পারলৌকিক কাজ সম্পন্ন হওয়ার দিন ছিল। সেইজন্য দাদা পুরোহিতকে ডাকতে গেলেও তিনি কোনমতেই আসতে রাজি হননি। বারবার তিনি একটাই কথা বলেন যে আমি যেতে পারব না। কারণ জিজ্ঞাসা করায় উনি কিছুই বলেননি।” এর কারণ প্রসঙ্গে কিছু না বললেও পুরোহিতকে ভয় দেখানোর প্রসঙ্গটি উঠে আসে তাঁর মন্তব্যে।