বাংলাহান্ট ডেস্ক : মহারাষ্ট্রে কার্যতই দাউদাউ করে জ্বলছে লাউডস্পিকার বিতর্কের আগুন। লাউডস্পিকারে আজান বাজানোর বিরুদ্ধে দীর্ঘদিজ ধরেই সরব মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন যে মসজিদগুলিতে লাউডস্পিকার বন্ধ করা না হলে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজানো হবে। বুধবার ইদের সকালে মুম্বাইয়ের একটি এলাকায় নামাজের সময় চালানো হল হনুমান চালিসা।
জানা যাচ্ছে, বুধবার মুম্বাইয়ের চারকোপ এলাকায় সকাল ৫টার নামাজের সময় লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা চালিয়ে দেন নবনির্মান সেনার কর্মীরা। একটি বহুতল আবাসিক ভবনের ছাদেই এই লাউডস্পিকার লাগিয়েছিলেন তাঁরা।
মঙ্গলবার মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনা প্রধান রাজ ঠাকরে বলেন, ‘আমি সমস্ত হিন্দুদের কাছে আবেদন করছি যে আগামীকাল ৪মে আপনি যদি লাউডস্পিকারে আজান শুনতে পান তবে সেই জায়গাগুলিতে লাউডস্পিকারে হনুমান চালিসা বাজান। তবেই তারা এই লাউডস্পিকারের কারণে সৃষ্ট ঝামেলা বুঝতে পারবে। আমি সমস্ত হিন্দুদের কাছে তাদের হনুমান চালিসা পাঠ করার জন্য আবেদন করি।’
তিনি আরও বলেন,’সকল স্থানীয় সতর্ক নাগরিকদের উচিত এর বিরুদ্ধে একটি স্বাক্ষর অভিযান শুরু করা এবং স্বাক্ষর সহ স্থানীয় থানায় প্রতিদিন আপিল পত্র জমা দেওয়া। যদি কেউ শুনতে পান যে মসজিদে লাউডস্পিকার চলছে, নাগরিকদের উচিত ১০০ডায়াল করে অভিযোগ করা। মানুষের প্রতিদিন অভিযোগ করা উচিত।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রসঙ্গে তিনি আগেই জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের দাবিগুলি না মিটলে সেগুলির সুরাহা না হলে মহারাষ্ট্রে যা ঘটবে তার জন্য আমরা দায়ী নই। আমি আবারও বলছি যে এটি একটি ধর্মীয় বিষয় নয়, এটি সামাজিক সমস্যা। তবে আপনারা যদি এটিকে ধর্মীয় ইস্যু করেন তাহলে আমরাও একই পদ্ধতিতে জবাব দেব।’ এবার মহানির্মাণ সেনার এহেন কাজে যে স্বভাবতই বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে দেশজুড়ে তা বলাই বাহুল্য।