বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেবতা শিবের মতই আদি দেবতা হিসেবে ধরা হয় ভগবান হনুমানকে (hanuman)। বিশ্বাস করা হয় যে, কলিযুগে হনুমানজি সর্বাধিক জাগ্রত এবং সংকটমোচনকারী ভগবান। গোটা পৃথিবীতেই ছড়িয়ে রয়েছে হনুমানজির নানান মন্দির। তবে তার মধ্যে মধ্যপ্রদেশের এক মন্দিরে হনুমানজির এক আশ্চর্য্য মূর্তি দেখতে পাওয়া যায়, যা দিনে তিনবার রূপ পরিবর্তন করে।
শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব সত্য। মধ্য প্রদেশের মন্ডলা জেলা থেকে ৩ কিলোমিটার দূরে পূর্ব গ্রামের নিকটে অবস্থিত সুরজকুন্ডে নর্মদা নদীর ধারে একটি মন্দিরে হনুমানজির এমনই একটি অদ্ভূত মূর্তি রয়েছে। যা দিনে তিনবার রূপ পরিবর্তন করে।
এই অদ্ভূত এবং আশ্চর্য্যজনক হনুমান মূর্তিদেখতে বহু দূর থেকে হাজারো হাজারো ভক্তগণ এখানে উপস্থিত হন। জীবনে একবার এই অদ্ভূত মূর্তি দেখে পূণ্য অর্জন করেত সেখানে হাজারো মানুষ গিয়ে ভিড় করেন।
মন্দিরের পুরোহিতের মতে, মন্দিরের এই মূর্তি সকাল ৪ টে থেকে ১০ টা পর্যন্ত শিশু রূপে থাকে। তারপর সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যে ৬ টা পর্যন্ত তা রূপ বদল করে হয়ে যায় যুবক এবং সন্ধ্যে ৬ টা থেকে সারারাত সেই মূর্তি বৃদ্ধের রূপ ধারণ করে। পুরোহিত এবং স্থানীয়দের ধারণা, ভগবানের ইচ্ছার কারণেই হনুমানজির এই মূর্তি দিনে তিনবার রূপ বদল করে।