Bangla Hunt Desk: অবশেষে এল আরও এক মাহেন্দ্রক্ষণ। আয়ারল্যান্ডে (Ireland) বসবাসকারী ভারতীয়েরা পেলেন নিজ উপাসনা গৃহ। দীর্ঘ ২০ বছরের বেশি সময় ধরে চলে আসা এক লড়াইয়ে জয়ের পরিণতি হল। আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী প্রায় ২৫ হাজার হিন্দুর মুখে ফুটে উঠল তৃপ্তির হাসি।
আয়ারল্যান্ডে থাকা ভারতীয় হিন্দুদের জন্য নির্দিষ্ট কোন উপাসনা স্থান ছিল না। কোন ধর্মীয় উৎসবেও তারা একত্রে সামিল হতে পারতেন না। এমনকি পরবের দিনে একসঙ্গে নামাজ পড়ারও কোন নির্দিষ্ট স্থান ছিল না। সব কিছুর ক্ষেত্রেই একমাত্র ভরসার জায়গা ছিল ভাড়া করা কমিউনিটি হল। এবার সেই সমস্যার সমাধান হিল।
আয়ারল্যান্ডে মন্দির চেয়েছিল হিন্দু সম্প্রদায়
ভারতীয় ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় আয়ারল্যান্ডের হিন্দুরা বহুদিন ধরেই ডাবলিনে একটি প্রতিষ্ঠিত হিন্দু মন্দিরের দাবি করে এসেছিলেন। একত্রে সকলে মিলে উৎসবে সামিল হওয়ার আনন্দ যজ্ঞে একটি নির্দিষ্ট নির্বাচিত মন্দির খুবই প্রয়োজন ছিল আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী ভারতীয় হিন্দুদের কাছে। এবার তাঁদের সেই দীর্ঘ প্রতিক্ষার অবসান ঘটল।
প্রতিষ্ঠিত হল হিন্দু মন্দির
দীর্ঘ সময় লড়াইয়ের পর আয়ারল্যান্ডে প্রতিষ্ঠিত হল প্রথম হিন্দু মন্দির। খুশির হাওয়া বয়ে গেল হিন্দুদের মধ্যে। দেশের মধ্যেকার অন্যতম বড় শহরে এই মন্দির প্রতিষ্ঠিত হওয়ায়, চর্চা শুরু হয়েছে বিভিন্ন মহলে। শুধু মন্দির প্রতিষ্ঠাই নয়, এর পাশাপাশি গোটা আয়ারল্যান্ডে হাজার হাজার গাছ লাগানো থেকে শুরু করে, সেখানকার গৃহহীনদের জন্য অন্ন বস্ত্র এবং বাসস্থানেরও ব্যবস্থা করতে উদ্যত এই মন্দির কমিটি।
আয়ারল্যান্ডের এই হিন্দু মন্দির প্রতিষ্ঠার পেছনে সবথেকে বড় অবদান রয়েছে বৈদিক হিন্দু সংস্কৃতির পরিচালক সুধাংশ ভর্মাসহ আরও কিছু মানুষের। আয়ারল্যান্ডে বসবাসকারী রোহিত শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, ‘এই মন্দির দেখে অনেকদিন পর বাড়ি ফেরার মতো শান্তি পেলাম’।