হিন্দু তরুণীকে ভালোবাসার শাস্তি দিতে প্রকাশ্য রাস্তায় মুসলিম যুবককে হেনস্থা, শ্রীঘরে সমাজসেবী

Published On:

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ছিলেন বিজেপি কর্মী, বর্তমান সময়ে তাঁর পরিচয় সমাজসেবী। আর সেই সমাজসেবা করতে গিয়েই, এক বিপত্তি করে বসলেন বাবলি মুখোপাধ্যায়। ভরা কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ডে ভিন্ন ধর্মের প্রণয়ী যুগলের চুল কেটে নিয়ে, সেই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় আপলোড করে বর্তমানে তাঁর ঠাই হয়েছে শ্রীঘরে।

সূত্রের খবর, একসময় সক্রিয় বিজেপি কর্মী হলেও, বর্তমানে নিজেকে সমাজসেবী বলে পরিচয় দিয়ে মোটা টাকার বিনিময়ে দাম্পত্য কলহে সালিশি করেন বাবলি। এমনকি সেইসমস্ত কাজের ভিডিও শেয়ার করতেন স্যোশাল মিডিয়ায়। আবার এই কাজ করার জন্য কৃষ্ণনগর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অফিসও করেছেন তিনি।

এইভাবে চলতে চলতে মঙ্গলবার রাত ১টা নাগাদ অফিস বন্ধ করার সময় ওই এলাকায় দুই যুবক যুবতীকে দেখে বাবলির সাঙ্গপাঙ্গরা। তাঁদের মধ্যে মেয়েটি ছিল হিন্দু সম্প্রদায়ের এবং ছেলেটি মুসলিম সম্প্রদায়ের ছিল। তাদেরকে সেখানে দাঁড়িয়ে থাকার কারণ জিজ্ঞেসা করতে করতেই সেখানে করিমপুর থেকে এসে উপস্থিত হয় ছেলেটির মা ও দুই আত্মীয়।

এরপর তাঁদের সকলকেই বাবলির অফিসে নিয়ে যায় তাঁরা। এবিষয়ে বাবলি জানিয়েছে, ‘কথাবার্তায় জানতে পারি ব্যারাকপুরের বাসিন্দা ফেসবুকে আলাপ হয় এই বছর ১৮-র যুবক এবং ১৪ বছরের কিশোরীর। তাঁরা বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে এবং ছেলের বাড়ির লোকজন তাঁদের নিতে এসেছে’। এই অবস্থায় তাঁদের অফিসে বসিয়ে মেয়েটির বাড়ির লোককে খবর দেয় বাবলি।

সূত্রের খবর, সকালে মেয়ের পরিবারের লোকজন এলে, দুইপক্ষকে সামনে বসিয়ে শুরু হয় সালিশি। কথা বলতে বলতে ছেলেটিকে চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করে বাবলি। এরপর সকাল ১০ টা নাগাদ বাসস্ট্যান্ডের সামনেই ছেলে মেয়ে দুটিকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে তাঁদের পরিবারের বারণ না শুনেই, তাঁদের চুল কেটে দেয় বাবলি।

আর এরপরই সেই ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় শেয়ার করেন বাবলি। যার পরিপ্রেক্ষিতে কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার ঈশানী পাল বলেন, ‘এবিষয়ে তদন্ত করে ওই মহিলার বিরুদ্ধে সারা রাত আটকে রাখা ও মোবাইল ছিনতাইয়ের মামলা দায়ের করা হয়। বিচারে কৃষ্ণনগর আদালত ওই মহিলাকে ৭ দিন হেফাজতে রাখার রায় দিয়েছে’।

তবে এবিষয়ে বাবলির দাবি, ছেলেটির ফোনে মেয়েটির সঙ্গে বেশকিছু ঘনিষ্ঠ মুহূর্তের ছবি থাকায় তিনি ছেলেটির ফোন কেড়ে নিয়েছিলেন।

X