আর জি কর মামলায় রাজ্য সরকারকে চিঠি হরভজনের, কী লিখলেন ‘ভাজ্জি’?

আর জি করের নৃশংসতার ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) এবং রাজ্যপালের কাছে আওয়াজ তুলেছেন প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেট দলের স্পিনার হরভজন সিং। কলকাতার চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যা কাণ্ড সারা দেশকে নাড়া দিয়েছে। মামলার বিলম্ব নিয়ে কথা বলেছেন এই সাবেক স্পিনার। চিঠির মাধ্যমে হরভজন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ও রাজ্যপালের কাছে দ্রুত বিচার করার আবেদন জানিয়েছেন।

ভাজ্জি বলেন, ‘নারীর মর্যাদার সঙ্গে কোনও আপস করা যাবে না। এ ছাড়া আসামিদের এমন শাস্তি দেওয়ার কথা বলেন যা অন্যদের জন্য দৃষ্টান্ত হয়ে দাঁড়াতে পারে। সাবেক এই স্পিনার বলেন, এভাবে আমরা আবার সিস্টেমের ওপর আস্থা ফিরিয়ে আনতে পারব। একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের মাধ্যমে, ভাজ্জি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যপালকে লেখা চিঠিটি শেয়ার করেছেন।

   

Mamata Banerjee

চিঠির মাধ্যমে হরভজন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) ও রাজ্যপালের কাছে দ্রুত বিচার চেয়েছেন

চিঠিটি শেয়ার করে ভাজ্জি ক্যাপশনে লিখেছেন, “কলকাতা ধর্ষণ ও হত্যার শিকারের বিচারে বিলম্বের জন্য গভীর বেদনার সাথে, যা আমাদের বিবেককে চমকে দেয়, আমি পশ্চিমবঙ্গের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এবং মাননীয় রাজ্যপালের কাছে আবেদন জানাচ্ছি। এটি করার সময় কাজটি দ্রুত এবং সিদ্ধান্তমূলকভাবে করা উচিত।”

হরভজন আরও লিখেছেন, “নারীদের নিরাপত্তা ও মর্যাদার সঙ্গে আপস করা যাবে না। এই জঘন্য অপরাধের অপরাধীদের অবশ্যই আইনের পূর্ণ শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে এবং শাস্তি অবশ্যই দৃষ্টান্তমূলক হতে হবে। শুধুমাত্র এইভাবে আমরা আমাদের সিস্টেমে বিশ্বাস ফিরিয়ে আনতে পারি। শুরু করতে পারি এবং নিশ্চিত করতে পারি যে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটবে এবং আমরা এমন একটি সমাজ তৈরি করব যেখানে প্রতিটি মহিলা নিজেকে সুরক্ষিত মনে করবে যদি এখন না হয়, তাহলে এখনই কাজ করার সময় এসেছে।”

এছাড়াও তিনি চিঠিতে লিখেছেন, “গভীর বেদনা, যন্ত্রণা এবং প্রবল ক্ষোভের সাথে, আমি এই চিঠিটি লিখছি কলকাতার আরজি কর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের একজন আবাসিক চিকিৎসকের ভয়ঙ্কর ধর্ষণ ও হত্যার প্রতিবাদে। এটি আমাদের মধ্যে একটি গভীর শোকের ছায়া তৈরি করেছে।”

Pousali Chakraborty
Pousali Chakraborty

সংবাদের প্রতি টানে ব্রেকিংয়ের দুনিয়ায় পা দেওয়া পৌষালীর। দর্শন নিয়ে স্নাতকে এগোলেও পরবর্তী পথ চলাটা খবরের দিকে ঘুরে যায়। জীবনে আসে যাদবপুর থেকে পড়ার অল্প সময়ের সুযোগ। টলিপাড়ায় উঁকি দেওয়া থেকে বাইশ গজের পিচে কার ঝুলিতে কত রান, দুই দিকেই নজর ঘোরাতে ভালোবাসেন পৌষালী। পর্দার অনুষ্কা-মাঠের বিরাট দু'জনের খবর সমান তালে রাখার চেষ্টা করে। অবসর সময় কাটে নাচ, বই, ম্যাগাজিনে চোখ বুলিয়ে।

সম্পর্কিত খবর