বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্কঃ সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ভারতীয় দলের বোলারদের। প্রথম ইনিংস শেষ হওয়ার পর আপাতত চালকের আসলেই রয়েছে ভারতীয় দল। অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ ওভারেই অলআউট করে তারা বেঁধে ফেলেছে মাত্র ২৬৯ রানের মধ্যে। অসাধারণ বোলিং করেছেন হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেলরা। ভারত এবার জিততে চাইলে কত তাড়াতাড়ি এই রানটা তুলতে পারে সেটাই নজরে রাখার ব্যাপার।
আজ পথে যেতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। ভারতীয় দলে কোন পরিবর্তন ছিল না। অস্ট্রেলিয়া দলে হয়েছিল দুটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। চেন্নাইয়ের পিচের চরিত্র মাথায় রেখে দুই পেসারকে ছেঁটে একজন অতিরিক্ত ব্যাটার হিসাবে ডেভিড ওয়ার্নারকে এবং একজন অতিরিক্ত স্পিনার হিসাবে অ্যাস্টন অ্যাগারকে দলে আনেন স্টিভ স্মিথ।
গত ম্যাচের মত আজকেও শুরুটা দুর্দান্তভাবে করেছিল অস্ট্রেলিয়ার দুই আগ্রাসী ওপেনার ট্র্যাভিস হেড ও মিচেল মার্শ। শামি বা সিরাজ তাদেরকে রোখার কোনও উপায় খুঁজে পায়নি। এরপর বোলিং পরিবর্তন করে হার্দিক পান্ডিয়াকে আক্রমণে আনেন রোহিত শর্মা। তার ওভারে অতিরিক্ত ঝুঁকি নিতে গিয়ে একবার জীবন দান পেয়েও নিজের উইকেট ছুড়ে আসেন হেড। এরপর খাতা খোলার আগেই অজি অধিনায়ক স্টিভ স্মিথকেও ড্রেসিংরুমে ফেরত পাঠান তিনি। এর কয়েক ওভার পরে সিরিজে নিজের তৃতীয় অর্ধশতরানের দিকে এগোতে থাকা মার্শকেও বোল্ড করেন হার্দিক।
এরপর অস্ট্রেলিয়ার রানের গতিও অনেকটা কমে যায়। পিচ থেকে অক্ষর প্যাটেল, রবীন্দ্র জাদেজা, কুলদীপ যাদবরা বেশ কিছুটা সাহায্য পাচ্ছিলেন। সেট হয়ে গিয়েও নিজেদের উইকেট উপহার দিয়ে আসেন ওয়ার্নার (২৩), লাবুশানেরা (২৮)। কুলদীপ যাদবকে অতিরিক্ত আক্রমণ করতে গিয়ে দুজনেই নিজের উইকেট হারান।
এরপর কিছুটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন অ্যালেক্স ক্যারি (৩৮) এবং মার্কাস স্টোইনিস (২৫)। কিন্তু তাদের ৫৮ রানের পার্টনারশিপ টিকে ভাঙেন অক্ষর প্যাটেল। এরপর মারমুখী হয়ে ওঠা শন অ্যাবটকেও (২৬) ফেরত পাঠান তিনি। ক্যারিকে চমক দিয়ে স্টাম্প ভেঙে দেন কুলদীপ। শেষদিকে স্টার্ক (১০), অ্যাগার (১৭), জাম্পা (১০*) কিছু গুরুত্বপূর্ণ রান যোগ করেন স্কোরবোর্ডে। ৩ টি করে উইকেট নেন হার্দিক ও কুলদীপ। ২ টি করে উইকেট নেন অক্ষর ও সিরাজ। মাঝে ১৩৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেললেও অস্ট্রেলিয়ার লোয়ার অর্ডার ভালো লড়াই করেছে। ভারতের সামনে সিরিজ ও ম্যাচ জয়ের জন্য লক্ষ্য ২৭০।