বাংলা হান্ট ডেস্কঃ এর আগেও নারীদের ব্যাপারে অশালীন মন্তব্য করার জন্য চূড়ান্ত সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল ভারতীয় খেলোয়াড় হার্দিক পান্ডিয়াকে। আর এবার ফের তার বিরুদ্ধে উঠল এক চরম নিন্দনীয় অভিযোগ, যা সত্যি প্রমাণিত হলে পরবর্তী ক্ষেত্রে ভয়ংকর শাস্তির মুখেও পড়তে হতে পারে এই ভারতীয় অলরাউন্ডারকে। সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছেনা হার্দিকের, একে তো গোটা বিশ্বকাপ জুড়ে তাকে ভুগিয়েছে পিঠের চোট আপাতত তিনি বাদ ভারতীয় দল থেকেও। তার ওপর দাউদ ইব্রাহিম ঘনিষ্ঠ রিয়াজ ভাটির স্ত্রী রেহনুমা ভাটির বিস্ফোরক অভিযোগকে কেন্দ্র করে এখন রীতিমতো কোণঠাসা এই ক্রিকেটার।
রেহনুমার অভিযোগ মদ এবং মাদকের নেশার ঘোরে ক্রিকেটার হার্দিক পান্ডিয়া ধর্ষণ করেছেন তাকে। শুধু তিনি একা নয় তার সাথে যুক্ত ছিলেন, ক্রিকেটার মুনাফ প্যাটেল, প্রাক্তন বিসিসিআই চেয়ারম্যান রাজীব শুক্লা এবং পৃথ্বীরাজ কোঠারিও। রেহনুমার অভিযোগ, তার স্বামী রিয়াজ ভাটি ১৫ বছর ধরে তাকে দেহব্যবসার কাজে ব্যবহার করছেন। স্বামীর অত্যাচারেই বাধ্য হয়ে তাকে একাধিক হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হতে হয়।
এই কাজ তিনি করতে চাননি কিন্তু স্বামী রিয়াজ ক্রমাগত তার সন্তানদের মেরে ফেলার হুমকি দিতে থাকে। আর সেই কারণেই বাধ্য হয়ে একাধিক হাইপ্রোফাইল ব্যক্তিদের সাথে যৌন সম্পর্কে মিলিত হয়েছেন তিনি। আর এই ব্যক্তিদের তালিকায় রয়েছে হার্দিক, মুনাফদের নাম। যদিও কবে কোথায় তাদের সঙ্গে মিলিত হয়েছেন তিনি সে নিয়ে কোনও বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি রেহনুমা। পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, এই অভিযোগের এখনো কোনও উপযুক্ত প্রমাণ মেলেনি। তবে এ বিষয়ে তদন্ত করছেন তারা।
COMPLAINT COPY EXCLUSIVE‼️ https://t.co/Nj2U9UoA8P pic.twitter.com/o5uWCoDfLx
— Sameet Thakkar (Modi Ka Parivar) (@thakkar_sameet) November 10, 2021
যদিও রেহনুমার দাবিটা একেবারেই অন্য। তার মতে পুলিশ মোটেই সহযোগিতা করছে না এই বিষয়ে, উল্টে তার কাছে টাকা চাওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, “আমি এফআইআর দায়ের করতে চাইলেও তা নেওয়া হয়নি। গত সেপ্টেম্বরেই এ নিয়ে একটা আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলাম। নভেম্বর হয়ে গেল, কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। উলটে তদন্তের জন্য আমার থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে। যাতে আমি রাজি হয়নি। আমি তো কোনও দোষ করিনি, ওরা করেছে।”