বাংলা হান্ট ডেস্ক : সিজনের শুরুর থেকেই বিতর্ক ঘিরে রেখেছে হার্দিককে (Hardik Pandya)। তবে দিল্লিকে হারানোর পর কিছুটা হলেও রেহাই পেয়েছিলেন মুম্বাই অধিনায়ক। যদিও স্বস্তি বোধহয় লেখা নেই হার্দিকের কপালে। মরশুমের মাঝেই পুলিশ বাহিনী পৌঁছাল হার্দিকের বাড়িতে। সূত্রের খবর, কোটি কোটি টাকার প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে হার্দিকের সৎ ভাই বৈভব পাণ্ড্যকে (Hardik Pandya Brother Arrested)।
সূত্রের খবর, হার্দিক পান্ডিয়া এবং তার ভাই ক্রুণাল পান্ডিয়ার অভিযোগের উপর ভিত্তি করেই বৈভবকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তারকা ক্রিকেটারদের অভিযোগ, তাদের সৎ ভাই বৈভব পান্ডিয়া নাকি পারিবারিক ব্যবসা থেকে প্রায় ৪.৩ কোটি টাকার জালিয়াতি করেছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১১ সালে এই তিন ভাই যৌথভাবে পলিমার ব্যবসা গড়ে তুলেছিলেন। চুক্তি ছিল, হার্দিক এবং ক্রুণাল দুজন মিলে বিনিয়োগ করবেন ৪০ শতাংশ যেখানে বৈভব বিনিয়োগ করবেন ২০ শতাংশ। এবং লভ্যাংশ যা আসবে তা সমানভাবে বণ্টন হবে তিন ভাইয়ের মধ্যে। তবে মাঝপথেই চুক্তি ভাঙেন বৈভব। ক্রুণাল এবং হার্দিককে না জানিয়েই একই ব্যবসার আরও একটি সংস্থা গড়ে তোলেন বৈভব পান্ডিয়া।
আরও পড়ুন : রাজস্থান জয়ে নজির শুভমনের, কিং কোহলির রেকর্ড ভেঙে নয়া রেকর্ড গুজরাট ক্যাপ্টেনের
আর এতে করে বেশ বড়সড় ক্ষতির মুখে পড়ে হার্দিক-ক্রুনালের ব্যবসা। প্রায় তিন কোটি টাকার ক্ষতির সাথে কোম্পানিটি বেশ বড় ধাক্কা খেয়েছে। অন্যদিকে বৈভব নিজের লভ্যাংশ ২০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩৩.৩ শতাংশ করে নেয়। সেই সাথে মূল কোম্পানির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে অবৈধভাবে এক কোটি টাকা নিজের অ্যাকাউন্টে সরিয়ে নেয় বলে জানিয়েছে মুম্বাই পুলিশ।
আরও পড়ুন : ক্রিকেটের ইতিহাসে লজ্জা, বেটিং কাণ্ডে জেল খাটা বোলারকে জাতীয় দলে নিল পাকিস্তান! খেলতে পারেন বিশ্বকাপেও
ঘটনা সামনে আসতেই রেগে লাল হয়ে যান পান্ডিয়া ব্রাদার্স। চুরি নিয়ে প্রশ্ন তোলায় উল্টে তাদেরই হুমকি দেয় পান্ডিয়ার সৎ ভাই বৈভব। তাদের ভাবমূর্তি নষ্ট করারও হুঁশিয়ারি দিয়েছিল সে। আর এতেই সহ্যের সীমা ছাড়িয়ে যায়। হার্দিক, ক্রুনাল সোজা গিয়ে অভিযোগ জানান পুলিশে। আর তারপরেই নাকি বৈভবকে গ্রেফতার করেছে মুম্বাই পুলিশ।