বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: বাটলারের (Jos Butter) অধিনায়কত্বের যাত্রাটা শুরু হলো ভারতের (Team India) কাছে ৫০ রানের ব্যবধানে বড় হার দিয়ে। হার্দিক পান্ডিয়ার (Hardik Pandya) দুর্দান্ত অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ভর করে জয় দিয়ে টি টোয়েন্টি সিরিজে অভিযান শুরু করলো ভারত। ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং তিন বিভাগেই ইংল্যান্ডকে টেক্কা দিলেন রোহিত শর্মারা (Rohit Sharma)। দল হিসাবেও দুর্দান্ত ক্রিকেট খেললো ভারত।
টসে জিতে সাউদাম্পটনে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন রোহিত শর্মা। ভারতীয় সময় রাত ১০.৩০ নাগাদ আইপিএলের পর ফের একবার মাঠে ফিরেছিলেন ভারত অধিনায়ক। শুরুটাও করেছিলেন ঝড়ের মতোই। কিন্তু ১৪ বলের বেশি টিকতে পারেননি। তার মধ্যেই আগ্রাসী ২৪ রান করে আউট হন তিনি। কিন্তু কাল রাতে ফ্লপ করেছিলেন অপর ওপেনার ঈশান কিষান। এমন অবস্থায় ভারতের ইনিংসে দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন ৩ ও ৪ নম্বরে ব্যাট করতে নামা দীপক হুডা ও সূর্যকুমার যাদব। দুজনের মধ্যে ৪৩ রানের পার্টনারশিপ হয়। হুডা ১৭ বলে ৩৩ এবং স্কাই ১৯ বলে ৩৯ রানের ইনিংস খেলে আউট হন। এরপর ক্রিজে আসেন ফর্মে থাকা হার্দিক পান্ডিয়া। ব্রিটিশ বোলারদের আক্রমণের ধারা অব্যাহত রেখে তিনি নিজের টি টোয়েন্টি কেরিয়ারের প্রথম অর্ধশতরান তুলে আনেন। কিন্তু তিনি ৩৩ বলে ৫৪ রান করে আউট হওয়ার পর রানের গতি কমে যায়। একসময় অনায়াসে ২১০-২২০ মনে হওয়া রান শেষপর্যন্ত এসে দাঁড়ায় ১৯৮-তে। দুর্দান্ত বোলিং করে ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন ক্রিস জর্ডান।
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের আশায় ছিলেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। কিন্তু প্রথম ওভারেই জস বাটলারকে গোল্ডেন ডাকে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে জোর ধাক্কা দেন ভুবনেশ্বর কুমার। তার এবং এই ম্যাচে অভিষেককারী বাঁ-হাতি পেসার অর্শদীপের সুইংয়ের সামনে অসহায় হয়ে পড়েন জেসন রয় এবং ৩ নম্বরে নামা ডেভিড মালান (২১)। মালান পাল্টা আক্রমণের চেষ্টা করেন। কিন্তু হার্দিক পান্ডিয়ার প্রথম ওভারেই দুর্ভাগ্যবশত আউট হন তিনি। সেই ওভারেই হার্দিকের বলে স্কুপ করতে গিয়ে উইকেট খোয়ান লিয়াম লিভিংস্টোন। হার্দিকের দ্বিতীয় ওভারে থার্ড ম্যানে ধরা পড়েন রয় যাকে অর্শদীপ এবং ভুবনেশ্বর কার্যত বেঁধে রেখেছিলেন ক্রিজে। এরপর হ্যারি ব্রুকস (২৮) এবং মঈন আলী (৩৬) ইংল্যান্ডকে ম্যাচে রাখার চেষ্টা করলেও ত্রয়োদশ তম ওভারে দুজনকেই তুলে নেন চাহাল। এরপর ম্যাচে আর কিছু টুইস্ট ছিল। নিজের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা অর্শদীপ সিং টেলএন্ডারদের সাফ করেন। একটি উইকেট পান হর্ষল প্যাটেলও। ২০ ওভার ব্যাট করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। ১৯.৩ ওভারে ১৪৮ রানে শেষ হয় ক্রিস জর্ডানদের ইনিংস।
ব্যাট হাতে অর্ধশতরান, বল হাতে ৪টি গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তোলার সুবাদে ম্যাচের সেরা হার্দিক। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ভুবনেশ্বর কুমার, দীপক হুডা, সূর্যকুমার যাদব, যুজবেন্দ্র চাহালরা। নিজের অভিষেক ম্যাচে ৩.৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট তুলে অভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেন অর্শদীপ। ভারতের জন্য চিন্তার ব্যাপার দুটি। প্রথমত, উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দীনেশ কার্তিকের বিশ্রী পারফরম্যান্স এবং দ্বিতীয়ত পরের ম্যাচে কোহলি, শ্রেয়স, পন্থরা ফেরার পর তাদের কাদের বদলে দলে সামিল করা হবে।