২ কিমি পথ হেঁটে জল আনতে যেতেন স্ত্রী! পাহাড় কেটে ৬০ ফুট গভীর কুয়ো বানিয়ে ফেললেন স্বামী

বাংলা হান্ট ডেস্ক: এই প্রতিবেদনটি শুরু করার আগে যাঁর কথা বলতেই হয় তিনি হলেন বিহারের দশরথ মাঝি (Dashrath Manjhi)। যিনি একার হাতে ২২ বছরের চেষ্টায় আস্ত পাহাড় কেটে বানিয়ে ফেলেছিলেন রাস্তা। পাশাপাশি, তাঁর এই বিরল কৃতিত্বের জেরে তিনি পরিচিত হয়ে ওঠেন, “মাউন্টেন ম্যান” নামেও। সর্বোপরি, তাঁর জীবনকাহিনির ওপর ভর করে নির্মিত হয়ে সিনেমাও। যার ফলে তাঁর ব্যাপারে জানতে পারেন সকলেই। এমতাবস্থায়, ঠিক এমনই এক “দশরথ মাঝি”-র প্রসঙ্গ উঠে এল মধ্যপ্রদেশ থেকে। জানা গিয়েছে সেখানে এক ব্যক্তি তাঁর স্ত্রীর জন্য পাহাড় কেটে আস্ত একটি কুয়ো খনন করে ফেলেছেন।

২ কিমি হেঁটে জল আনতে যেতেন স্ত্রী! স্বামী খনন করলেন কুয়ো: এই প্রসঙ্গে দৈনিক ভাস্করের একটি প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, মধ্যপ্রদেশের সিধি জেলার বাসিন্দা হরি সিংয়ের স্ত্রী সিয়াবতী জল আনতে ২ কিলোমিটার হেঁটে যেতেন। এমতাবস্থায়, চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হতে তাঁকে। পাশাপাশি, কষ্টও হত খুব। তাই, স্ত্রীর সাহায্যার্থে হরি নিজেই একটি কুয়ো খননের পরিকল্পনা করেন। শুধু তাই নয়, পাহাড় কেটে সেই কাজে লেগেও পরেন তিনি।

হরি সিং ৬০ ফুট গভীর কুয়ো খনন করেন: গণমাধ্যমের সাথে সাক্ষাৎকারের সময় তিনি জানান, তিন বছর ধরে পাহাড় কেটে ২০ ফুট চওড়া ও ৬০ ফুট গভীর একটি কুয়ো খনন করেন তিনি। পাশাপাশি, এই কুয়ো থেকে বর্তমানে কিছুটা জল বের হলেও এখনও খনন কাজ চলছে।

কুয়ো খননের সংকল্প নেন তিনি: উল্লেখ্য যে, পাথর কেটে কুয়ো খনন করা আদৌ কোনো সহজ কাজ নয়। স্বাভাবিকভাবেই, হরি সিংকেও অনেক অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয়েছে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান, মাটির কোনো স্তর না থাকায় কাজটি খুবই কঠিন হচ্ছে। তবে, বিভিন্ন অসুবিধার মুখোমুখি হয়েও, তিনি তাঁর স্ত্রীর জন্য এই কুয়ো খননের সংকল্প নিয়েছেন।

WhatsApp Image 2022 07 16 at 11.28.45 AM 1

কারো সাহায্য ছাড়াই চলছে কাজ: হরি সিং জানিয়েছেন, তিনি বহুবার পঞ্চায়েত কর্মীদের কাছে সাহায্য চেয়েছেন। কিন্তু কোনোরকম সাহায্য পাননি। এমতাবস্থায়, কেউ সাহায্য করতে এগিয়ে না আসায় তিনি নিজেই কুয়ো খননের সিদ্ধান্ত নেন। পাশাপাশি, তিনি জানিয়েছেন যে, ব্যবহারের জন্য জল না পাওয়া পর্যন্ত তিনি খননকার্য চালিয়ে যাবেন। এদিকে, হরি যেভাবে স্ত্রীর জন্য পাহাড় কেটে কুয়ো বানাচ্ছেন এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই তাঁর জেদকে কুর্ণিশ জানাচ্ছেন সকলেই।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর