থুতু দিয়ে দলিল করানোর নামে নেওয়া ‘ঘুষের’ টাকা গুনছেন TMC নেতা! ভাইরাল ভিডিও

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বিরোধীদের হামেশাই অভিযোগ, তৃণমূলের (Trinamool Congress) সাথে ঘুষ, কাটমানির ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক। একাধিকবার একাধিক তৃণমূল নেতার নাম জড়িয়েছে কাটমানি ইস্যুতে। এবার ফের সেই একই ঘটনা, স্থান হরিহরপাড়া। দলিল তৈরি করতে গেলেও দিতে হচ্ছে টাকা। এমনই অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার (INTTUC leader) বিরুদ্ধে। সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো ভাইরাল (Viral Video) হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সেই ভিডিওতে টাকা গুনতে দেখা যাচ্ছে আইএনটিটিউসির হরিহরপাড়া (Hariharpara) ব্লক সভাপতি আব্দুস সামাদ ওরফে সেন্টুকে। অভিযোগ দলিল বানিয়ে দেওয়ার পরিবর্তে মোটা টাকা নিচ্ছেন ওই তৃণমূল নেতা। ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট।

তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠনের নেতার টাকা গোনার ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। অভিযোগ উঠছে, ভিডিওতে যেই টাকা নিতে দেখা গিয়েছে, ওই টাকা দলিল করে দেওয়ার বিনিময়েই নিয়েছেন তৃণমূল নেতা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও এই নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ের নানা অভিযোগ উঠছে। তার নামে নাকি আগেও পোস্টার পড়েছিল এলাকায়। এমনটাই খবর মিলেছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিও প্রসঙ্গে আব্দুস সামাদের বক্তব্য, এখানে অনৈতিক কিছু হয়নি। ঘটনার পরও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার পাশেই দাঁড়িয়েছে দল। হরিহরপাড়ার তৃণমূল বিধায়ক নিয়ামত শেখ সাফাই দিয়ে বলেন, “সেন্টু তেমন ছেলে নয়।”

বিধায়কের কথায়, “আব্দুস সামাদ তেমন ছেলে নয়। তবে ঘটনার বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখব। দলিল বা রেকর্ড করে দেওয়া তো ওর এক্তিয়ারে নেই। তাহলে ও এসব করবেই বা কী করে? একটা নির্দিষ্ট সিস্টেমে সমস্ত কাজ হয়। রেজিস্ট্রি অফিস ছাড়া তো সম্ভব নয়।”

tmc flag

আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের ‘এই’ আসন থেকে লড়তে পারেন অমিত শাহ! সামনে এল বড় খবর

যদিও ইতিমধ্যেই এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। তৃণমূল শ্রমিক নেতার এক্তিয়ার নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। ঘটনায় পাল্টা শাসকদলকে বিঁধে বহরমপুরের বিজেপি বিধায়ক সুব্রত মৈত্র বলেন, “তৃণমূলের গলির নেতা থেকে উচ্চস্তরের নেতা কে কোথায় চুরি করেনি? এবার নতুন তথ্য পেলাম। ন্যায্য জমির চিত্র পাল্টে দিচ্ছে। জমির মিউটেশন টাকা ছাড়া করছে না। এটা একটা চক্র চলছে। এতে বিএলআরও ডিএলআরও যুক্ত কি না সেই বিষয়ও খতিয়ে দেখা উচিৎ।”

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর