বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: আইপিএলে (IPL) মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের (Mumbai Indians) দাপট দেখতে দেখতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা। যদিও গত দুই মরশুমে তাদের খুব একটা ভালো ছন্দে দেখায়নি। আসন্ন মরশুমে কি হবে তা এখনো জানা নেই। তবে আজ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পুরুষ দলের বর্তমান ও প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটারদের অর্থাৎ রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, সচিন টেন্ডুলকার, যশপ্রীত বুমরা, জোফ্রা আর্চারদের সামনে হাড্ডাহাড্ডি ফাইনালে দিল্লি ক্যাপিটালসকে (Delhi Capitals) হারিয়ে দিয়ে ওমেন্স প্রিমিয়ার লিগ (WPL) জিতে মুম্বাইয়ের সমর্থকদের মুখে হাসির ফোটালো হরমনপ্রীতের (Harmanpreet Kaur) নেতৃত্বাধীন মহিলা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দল।
বল হাতে অলরাউন্ডার হেইলি ম্যাথিউস এবং ব্যাটে ন্যাতালিয়া স্কেভিয়ার ব্রান্টের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভর করে হাটাহাটি লড়াইয়ের পর ফাইনালে সাত উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বজয়ী অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের নেতৃত্বাধীন দিল্লি ক্যাপিটালসকে হারালো তারা। প্রথমে ব্যাট করে দিল্লিকে ১৩১ রানের রুখে দিয়ে তিন বল বাকি থাকতেই সেই রান তুলে নিলেন হরমনপ্রীতরা।
মাঝে চিন্তার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যখন ৩৭ রান করে রান-আউট হয়েছিলেন অধিনায়ক হরমনপ্রীত। জয়ের জন্য তখনো ২৩ বলে ৩৭ রানের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু চাপের মুখে অসাধারণভাবে স্নায়ুর চাপ সামলে ৫৫ বলের ৬০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে মুম্বাইকে কাঙ্খিত জয় এনে দেন ন্যাতালিয়া স্কেভিয়ার ব্রান্ট।
এর আগে মুম্বাইয়ের হয়ে বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের হেইলি ম্যাথিউস। ফাইনালের মত গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২ টো মেডেন সহ মাত্র ৫ রান দিয়ে ৩ টি উইকেট তুলে নেন তিনি। ৩ টি উইকেট নিলেও এলিমিনেটরে হ্যাটট্রিক করা ইসাবেলা প্রচুর রান খরচ করেছিলেন।
দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছিলেন তাদের অধিনায়ক ল্যানিং। শিখা পান্ডে (২৭) ও রাধা যাদব (২৭) শেষ দিকে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে একসময় ৭৯ রানে ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলা দিল্লিকে ১৩১-এর স্কোর অবধি পৌঁছে দিয়েছিলেন। তারা দুজনেই অত্যন্ত কৃপণ বোলিং করে মুম্বাইয়ের কাজটা বেশ কঠিন করে তুলেছিলেন। শেষ দুই ওভারে মুম্বাইয়ের জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ২১ রান। কিন্তু ব্রান্টের দুর্দান্ত ব্যাটিং দিল্লির যাবতীয় স্বপ্ন ভেঙে দেয়।
এই জয়ের জন্য গর্ববোধ করতে পারেন বাংলার ক্রিকেট ভক্তরাও। কারণ গোটা মরশুম জুড়ে বাঙালি স্পিনার সাইকা ইশাক দুর্দান্ত বোলিং করে মুম্বাইকে এই সাফল্য পেতে সাহায্য করেছেন। ফাইনালে তিনি উইকেট না পেলেও গোটা টুর্নামেন্ট মিলিয়ে তিনি ১৫ টি উইকেট নিয়েছেন। নিজেকে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নিয়ে গিয়েছেন এই বাঙালি ক্রিকেটার।