থাকেন ছোট্ট একটি ফ্ল্যাটে, নেই কোনো মোবাইলও! রতন টাটার ভাইকে এবার সামনে আনলেন হর্ষ গোয়েঙ্কা

বাংলা হান্ট ডেস্ক: টাটা গ্রূপ বলতেই বর্তমানে যে ব্যক্তির কথা মাথায় আসে তিনি হলেন রতন টাটা। রতনকে চেনেন না এমন ভারতীয় খুঁজে পাওয়া সত্যিই মুশকিল। বিশ্বের অন্যতম শিল্পপতিদের মধ্যে তিনি একজন। বিভিন্ন কর্মকান্ডের মাধ্যমে রতন টাটা প্রায়ই থাকেন খবরের শিরোনামে।

সম্প্রতি রতন টাটার জন্মদিন উপলক্ষ্যে তাঁর ২৮ বছর বয়সী সঙ্গী শান্তনু নাইডুর সাথে অনাড়ম্বর ভাবে কেক কাটার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেই ভিডিওতে সকলেই তাঁকে শুভকামনা জানান এবং তাঁর দীর্ঘায়ু কামনা করেন। তবে, রতন টাটাকে সকলে চিনলেও তাঁর ছোট ভাই জিমি টাটাকে কি আপনি চেনেন?

টাটা কোম্পানির অন্যতম শেয়ারহোল্ডার জিমি সবসময়ই থাকেন প্রচারের আড়ালে। দেশের অন্যতম শিল্প প্রতিষ্ঠানের সাথে সরাসরি যুক্ত থাকার পরও তাঁর অনাড়ম্বর জীবনযাপন চমকে দিয়েছে সকলকেই!

জিমি টাটা মুম্বাইয়ের কোলাবায় দুই রুমের একটি ছোট্ট ফ্ল্যাটে থাকেন। তিনি নিজেকে সংবাদমাধ্যম থেকে অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছেন। বুধবার শিল্পপতি হর্ষ গোয়েঙ্কা টুইট করে রতন টাটার ভাই জিমি সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সামনে আনেন।

টুইটের মাধ্যমে হর্ষ জানান যে, “আপনি কি রতন টাটার ছোট ভাই জিমি টাটা সম্পর্কে জানেন? যিনি মুম্বাইয়ের কোলাবায় একটি দুটি বেডরুমের ফ্ল্যাটে বর্তমান জীবন কাটাচ্ছেন। তিনি ব্যবসায় আগ্রহী নন। তিনি একজন ভালো স্কোয়াশ খেলোয়াড় এবং প্রতিবারই আমাকে পরাজিত করেন।”

WhatsApp Image 2022 01 20 at 5.11.57 PM

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, জিমি টাটা হলেন রতন টাটার ছোট ভাই আর নোয়েল টাটা তাঁর সৎ ভাই। নব্বইয়ের দশকে অবসর নেওয়ার আগে, জিমি টাটা, টাটা গ্রুপের বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে কাজ করেছিলেন।

পাশাপাশি, তাঁকে টাটা কোম্পানির শেয়ারহোল্ডার এবং স্যার রতন টাটা ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তথ্য অনুযায়ী, জিমি নিজের কাছে মোবাইলও রাখেন না। তিনি সংবাদপত্রের মাধ্যমে দেশ ও বিশ্বের খবরের প্রতি চোখ রাখেন। রতনের মত জিমিও বিবাহ করেননি।

এদিকে, টাটা গ্রূপের অন্যতম দাবিদার হওয়া সত্বেও জিমির এমন অনাড়ম্বর জীবন দেখে মুগ্ধ হয়েছেন নেটিজেনরা। পাশাপাশি, হর্ষ গোয়েঙ্কাকে টুইটের মাধ্যমে জিমি টাটার ব্যাপারে জানানোর জন্য ধন্যবাদও জানান তাঁরা।

Sayak Panda
Sayak Panda

সায়ক পন্ডা, মেদিনীপুর কলেজ (অটোনমাস) থেকে মাস কমিউনিকেশন এবং সাংবাদিকতার পোস্ট গ্র্যাজুয়েট কোর্স করার পর শুরু নিয়মিত লেখালেখি। ২ বছরেরও বেশি সময় ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর