বাংলাহান্ট ডেস্ক: হরিয়ানার (Hariyana) বিজেপি (Bharatiya Janata Party) ক্রীড়ামন্ত্রীর ওপর যৌন হেনস্থার (Sexual assault) অভিযোগ উঠল। কয়েকদিন আগে এক মহিলা অ্যাথলেট কোচ তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগটি এনেছিলেন। এই নিয়ে বেশ কিছুদিন অশান্তিতে ছিলেন তাঁদের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টর ও তাঁর সরকার। তবে এই অভিযোগ থেকে বাঁচতে শেষ পর্যন্ত এই ১লা তারিখেই মন্ত্রীত্ব ছাড়লেন ওই ক্রীড়ামন্ত্রী সন্দীপ সিং (Sandeep Singh)। তবে তাঁদের দাবী, ইচ্ছে করেই সন্দীপের সাথে এরমটা করা হলো। তাঁর সুনামকে নষ্ট করার জন্য ইচ্ছে করে তাঁর ভাবমূর্তিতে দাগ দেওয়ার চেষ্টা করছে বিরোধী সরকার।
তবে আইনের ওপর ভরসা রেখে তিনি বলেছেন যে, তিনি জানেন তিনি কোনো দোষ করেননি। তাই তিনি নিজেকে নির্দোষ প্রমাণিত করে শীঘ্রই নিজের পদে আবার ফিরে আসবেন। তবে চন্ডিগড়ের পুলিশ এখনো সন্দীপকে ছেড়ে দেননি। তাঁর বিরুদ্ধে যে মামলা দায়ের হয়েছে তা তাঁরা খতিয়ে দেখবেন। আর তাঁর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ ওঠার পর তাঁর পক্ষে মন্ত্রীত্ব ধরে রাখা যথেষ্ট কঠিন হয়ে যাচ্ছিলো। শেষমেশ তাঁকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হলো।
তবে এই অভিযোগটা আসলে কী ছিল? ওই মহিলা কোচ বলেন যে, সন্দীপ তাঁর সাথে তাঁর ইনস্টাগ্রামের ভ্যানিস মোড ব্যবহার করে তাঁর সাথে কথাবার্তা চালান এবং তাঁর সাথে গোপনে দেখা করতে বলেন। কিন্তু তিনি কিছুতেই রাজী হননি। এরপর ওই মহিলা কোচকে তিনি নিজের বাড়িতে ডেকে তাঁর যৌন হেনস্থা করলে উনি সন্দীপের বিরুদ্ধে চন্ডিগড় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।
ইস্তফা দেওয়ার আগে এই শনিবার তিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মনোহরলাল খট্টরের সাথে দেখা করতে গিয়েছিলেন। তাঁকে যখন এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হয় যে তিনি কী আলোচনা করলেন তাঁর ইস্তফা নিয়ে, তিনি বলেন যে মুখ্যমন্ত্রী তাঁর কাছে সত্যটা জানতে চেয়েছিলেন, যে তিনি সত্যিই দোষী কীনা। আর তিনি সেটা মুখ্যমন্ত্রীকে খোলাসা করে জানিয়েছেন। আর এরপরেই তাঁকে মন্ত্রীত্ব ছাড়তে হয়েছে বলেই জানা গিয়েছে ।