বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার একটি অত্যন্ত চাঞ্চল্যকর বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে তুমুল জল্পনা। এই প্রসঙ্গে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple Puri) রত্ন ভাণ্ডারে অতীতে চুরির সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। সরকারি মনিটরিং কমিটির একজন সদস্য এই তথ্য জানিয়েছেন। ডুপ্লিকেট চাবির সাহায্যে রত্ন ভাণ্ডারে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই সদস্য।
জগন্নাথ মন্দিরের (Jagannath Temple Puri) রত্ন ভাণ্ডারে চুরির বিষয়ে শুরু জল্পনা:
প্যানেল চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ রথের সভাপতিত্বে বৈঠকে অংশ নিতে এসেছিলেন কমিটির সদস্য জগদীশ মোহান্তি। ওই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার সময়ে মোহান্তি জানান যে, মন্দিরের (Jagannath Temple Puri) রত্ন ভাণ্ডারের ডুপ্লিকেট চাবি কাজ না করায় তালা ভেঙে দেওয়া হয়। এমতাবস্থায়,রত্ন ভাণ্ডারে কোনও “অসাধু” কাজকর্ম হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
জগদীশ জানান, চোখে ধুলো দেওয়ার জন্য নকল চাবি তৈরি করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, গত ১৪ জুলাই কমিটির সদস্যরা পুরীর মন্দিরের (Jagannath Temple Puri) রত্ন ভাণ্ডারের ভেতরের চেম্বারের তালা ভেঙেছিলেন। প্রশাসনের কাছে থাকা রত্ন ভাণ্ডারের দু’টি ডুপ্লিকেট চাবি কাজ না করায় এটি করতে হয়েছে। ২০১৮ সালে,ভাণ্ডারের ভেতরের চেম্বারের তালা হারিয়ে গিয়েছে বলে জানানো হয়। এই বিষয়ে তদন্তের জন্য নবীন পট্টনায়কের বিদায়ী সরকার ওড়িশা হাইকোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জাস্টিস রঘুবীর দাসকে নিয়োগ করেছিল।
আরও পড়ুন: বাবা রামদেবের উপর চাবুক চালালো আদালত! দিতে হবে এত কোটি টাকার জরিমানা
এমতাবস্থায় সামগ্রিক বিষয়টি পরিপ্রেক্ষিতে, রাজস্থান ক্যাডারের অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিক জগদীশ মোহান্তি বলেছেন যে, কমিটির ফৌজদারি তদন্তের জন্য সরকারকে নির্দেশ দেওয়ার অধিকার নেই। এই প্রসঙ্গে জানিয়ে রাখি যে, রত্না ভাণ্ডারের (Jagannath Temple Puri) ভেতরের কক্ষে তিনটি কাঠের ও একটি স্টিলের আলমারি রয়েছে। এছাড়া দু’টি কাঠের ও একটি লোহার বাক্স রয়েছে।
মন্দির প্রশাসনের সূত্র বলছে, এর মধ্যে একটি ছিল কাঠের আলমারি। যার তালা অক্ষত ছিল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, ওড়িশায় নির্বাচনী প্রচারের সময়ে প্রধানমন্ত্রী মোদী গত ১১ মে রত্ন ভাণ্ডারের নকল চাবির পরিপ্রেক্ষিতে বিজেডি সরকারকে কটাক্ষ করেছিলেন। তিনি বলেন, রত্ন ভাণ্ডারের (Jagannath Temple Puri) আসল চাবি হারানো খুবই গুরুতর বিষয় এবং ডুপ্লিকেট চাবি থাকা আরও উদ্বেগজনক। সেই সময়, প্রধানমন্ত্রী মোদী প্রশ্ন করেছিলেন যে নকল চাবিগুলি কি দেবতার গহনাগুলির সাথে “কারসাজি” করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল?