বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একটা মামলা শান্ত হতে না হতেই হাথরস (Hathras) থেকে আরেকটি মামলা উঠে এলো। অভিযোগ উঠেছে যে, ছয় বছরের নিষ্পাপ বাচ্চাকে তাঁর মাসির ছেলে ধর্ষণ করে। ছয় বছরের শিশুর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। পরিস্থিতি আরও খারাপ হলে তাকে দিল্লীতে রেফার করে দেওয়া হয়। দিল্লীর হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন ওই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
শিশুর মৃত্যুর পর দিল্লী থেকে তাঁর দেহ নিয়ে গ্রামের বাইরের রাস্তায় রেখে পথ অবরোধ করে। নির্যাতিত পরিবার আলীগড় ইগলাস পুলিশের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ করেছে। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, তাঁদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত বাচ্চার শেষকৃত্য করা হবেনা। এই ঘটনা কোতওয়ালি সাদাবাদ এলাকার জাতোই গ্রামের।
এই মামলায় দায়ের FIR অনুযায়ী, মৃত বাচ্চার মা ৭ বছর আগেই মারা গিয়েছেন। এরপর মা হারা সন্তানকে তাঁর মাসি নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। বাচ্চার বাবা অভিযোগ করে বলেন, ১০ দিন আগে ওর মাসির ছেলে ওকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয়, চিকিৎসা করার বদলে তাকে বাথরুমে বন্দি করে রাখা হয়। বাড়ির বাইরে খেলতে থাকা অন্য বাচ্চারা যখন কান্নার আওয়াজ শুনতে পারে, তখন তাঁরা চিৎকার চেঁচামিচি করতে থাকে। এরপর গ্রামবাসীরা পুলিশকে খবর দেয়। তারপর চাইল্ড হেল্পলাইনের সাহায্যে বাচ্চাটিকে হাসপাতালে ভরতি করানো হয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে দিল্লীতে রেফার করা হয়। সেখানে চিকিৎসার সময় তাঁর মৃত্যু হয়।
বাচ্চাটির বাবার অভিযোগের পর আলীগড়ে বাচ্চাটির মাসি আর তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে আইপিসি 323, 342, 376, 120b শিশুদের যৌন অপরাধ থেকে রক্ষা করা আইন ২০১২ এর ধারা ৫ আর ৬ অনুযায়ী মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই মামলায় কড়া পদক্ষেপ নিয়ে ইগলাস থানার SHO কে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।