CBI তদন্তকে স্বাগত গ্রামবাসীদের, বলল দোষী যেন না বাঁচে, আর নির্দোষ যেন না ফাঁসে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ হাথরস নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর জারি আছে। আর এরমধ্যে গ্রামবাসীরা দাবি করেছে যে, দোষীরা যেন কোনও ভাবেই বেঁচে না যায়, আর নির্দোষরা যেন সাজা না পায়। গ্রামবাসীরা সিবিআই তদন্তকে স্বাগত জানিয়েছে আর এও বলেছে যে, দুই পক্ষেরই নারকো টেস্ট করা উচিৎ। অনেক গ্রামবাসী এও বলেছেন যে, গ্রেফতার করা যুবক দোষী নয়, তাকে ফাঁসানো হয়েছে।

এক গ্রামবাসী মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, আমরা চাই এই মামলার তদন্ত সিবিআই করুক আর দুই পক্ষেরই নারকো টেস্ট হোক। এর সাথে সাথে আমরা SIT এর তদন্তের অপেক্ষা করছি। উচ্চ বর্ণের মানুষেরা জানান, আমরা জানি আমাদের ছেলে দোষী না। কিন্তু আমরা এও চাই যে, কেউ দোষী হলে তাকে যেন ছেড়ে না দেওয়া হয় আর নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়।

আরেকদিকে, নির্যাতিতার পরিবারের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এক ব্যাক্তি বলেন, অভিযুক্ত পক্ষ যখন নারকো টেস্টের জন্য প্রস্তুত, তখন নির্যাতিত পক্ষে কেন নারকো টেস্ট থেকে দূরে ভাগছে? এর থেকে বোঝা যায় যে, এদের অভিযোগ মিথ্যে। গ্রামবাসীরা পুলিশের তদন্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে বলেন, অনেকেই রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র করছে।

আরেকদিকে, হাথরস মামলায় উত্তর প্রদেশের যোগী আদিত্যনাথ সরকার সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দাখিল করেছে। ওই হলফনামায় উত্তর প্রদেশ সরকার বিরোধীদের উপর জাতীয় দাঙ্গা ছড়ানোর অভিযোগ করেছে। উত্তর প্রদেশ সরকারের হলফনামায় দাবি করা হয়েছে যে, পরিবারের সম্মতির পর আর কোনও রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়েছে।

নিজেদের হলফনামায় যোগী সরকার অযোধ্যা-বাবরি মামলার কারণ জানিয়ে বলেছে, জেলাকে হাই অ্যালার্টে রাখা হয়েছিল। করোনার কারণে ভিড় জড় হওয়ারও কারণ দেখানো হয়েছে। উত্তর প্রদেশ সরকারর জানায়, অযোধ্যা বাবরি মামলার সংবেদশীলতা আর করোনার কারণে পরিবারের সম্মতির পরই রাতের অন্ধকারে নির্যাতিতার দেহ সৎকার করা হয়।


Koushik Dutta

সম্পর্কিত খবর