বাংলাহান্ট ডেস্ক : উইকেন্ডে ছুটি কাটাতে কোথাও ঘুরতে যেতে চান? তাহলে দুদিনের জন্য আপনার ডেস্টিনেশন হতে পারে হাতিবাড়ি (Hatibari)। বছরভর এই জায়গাটি ঘোরার জন্য আদর্শ। হাতিবাড়ি জায়গাটি অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গ-বিহার-ঝাড়খণ্ডের সীমান্ত এলাকায়। এটি একটি পাহাড়ে ঘেরা জনপদ। এই জায়গার চারপাশে ঘিরে রয়েছে শাল, পিয়াল, সেগুন, আকাশমণি, ইউক্যালিপটাস।
পারফেক্ট উইকেন্ড ডেস্টিনেশন হাতিবাড়ি (Hatibari)
সুবর্ণরেখা চলে গিয়েছে এই জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে। সব মিলিয়ে পাহাড়ি জঙ্গল ঘেরা এই জায়গা আপনার ছুটিকে স্পেশাল করে তুলবে। নাম না জানা অসংখ্য পাখির কলরবে মুখরিত থাকে হাতিবাড়ির (Hatibari) আকাশ-বাতাস। হাতিদের চলাচলের জন্য রয়েছে করিডর। ভাগ্য ভালো থাকলে দেখা পেতে পারেন হাতির। জঙ্গল ছাড়াও সুবর্ণরেখা সময় কাটানোর জন্য একটি আদর্শ জায়গা।
আরোও পড়ুন : বদলে যাচ্ছে নায়ক নায়িকা, ২ বছরের হিট মেগাকে বাঁচাতে গল্পই ঘুরিয়ে দিল জি বাংলা!
এই নদীর কলরব আপনার মনকে নিয়ে যাবে এক অনন্য অনুভূতিতে । কীভাবে যে দু-তিন দিন কেটে যাবে তার টেরও পাবেন না। এখান থেকে আপনারা সহজেই যেতে পারেন বাংলা-ঝাড়খন্ড সীমান্তে। চিচিড়ায় চেকপোস্ট রয়েছে এখানে। ৩৩ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে রাঁচি যাওয়া যায় এখান থেকে। গোপীবল্লভপুরের গোপীবল্লভজির মন্দির, কনকদুর্গা মন্দিরও খুব কাছে হাতিবাড়ির (Hatibari)।
আরোও পড়ুন : মাত্র ৬ মাসেই শেষ “বেঙ্গল টপার” প্রোডাকশনের সিরিয়াল, চ্যানেল বদলে নতুন গল্পে এন্ট্রি নায়কের
হাতিবাড়ি থেকে খানিক দুরে রয়েছে চিল্কিগড়। জামবনীর রাজা গোপীনাথ সিংহের তৈরি ৩০০ বছরের প্রাচীন রাজবাড়ি চিল্কিগড়ের অন্যতম একটি দ্রষ্টব্য স্থান। মন চাইলে আপনারা উড়িষ্যার দিকেও যেতে পারেন। হাতিবাড়ির খুব কাছেই অবস্থিত ওড়িশার দুয়ারসিনি পাহাড়। বনদপ্তরের বনবাংলো রয়েছে হাতিবাড়িতে। এই বাংলোয় রাত কাটাতে হলে থাকা-খাওয়া নিয়ে আপনার প্রতিদিন খরচ হতে পারে মাথাপিছু ৩০০০ টাকা মতো।
ছ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে আপনারা সহজেই হাতিবাড়ি পৌঁছে যেতে পারেন। ট্রেনে করে গেলে আপনাকে নামতে হবে বরবিল বা ঝাড়গ্রাম। বরবিল থেকে বাসে করে কেওনঝড় হয়ে পৌঁছাতে পারবেন হাতিবাড়ি। ঝাড়গ্রাম থেকে হাতিবাড়ি পর্যন্ত চলে সরাসরি বাস। সড়ক পথের রাস্তা ভালো হওয়ায় গাড়ি নিয়ে যেতে কোনও রকম অসুবিধা হবে না।