বিশ্বের সবথেকে ভূতুড়ে জায়গা কোনটি জানেন? জনশূন্য নয়, তবু নাম তুলে ফেলেছে গিনেস বুকেও

বাংলাহান্ট ডেস্ক : আমাদের দেশে এমন অনেক জায়গা রয়েছে যেগুলি হন্টেড হিসাবে খ্যাত। এমনকি কলকাতার আশেপাশেও এমন বহু জায়গা রয়েছে যেগুলি সম্পর্কে বিভিন্ন ভৌতিক গল্প প্রচলিত রয়েছে। তবে আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের এমন একটি গ্রাম সম্পর্কে জানাতে চলেছি যেটিকে বিশ্বের সবথেকে ভৌতিক স্থান হিসাবে বিবেচিত করা হয়।

আজ আমরা বলব এক ভৌতিক গ্রামের (Haunted Village) গল্প

গিনেস বুক অফ রেকর্ডেও ভৌতিক স্থান হিসেবে জায়গা করে নিয়েছে এই গ্রাম (Haunted Village)। এই গ্রামটির অবস্থান ইংল্যান্ডের (England) কেন্টে। প্লাকলি লিখে গুগলে সার্চ করলে খুঁজে পাবেন এই গ্রামটি। বহু মানুষ দাবি করেন, রাত নামলেই এই গ্রামে শোনা যায় মৃতদের আর্তনাদ। এই গ্রামে এমন ১২টি জায়গা রয়েছে যেখানে কখনো ভুল করেও মানুষজন পা রাখেন না।

Haunted Village

যারা এই গ্রামে এসেছেন তারাই বলেন যে এই গ্রামের সীমানার মধ্যে ঢুকে গেলে অনুভূত হয় এক নেতিবাচক শক্তির। তবে এই গ্রামে যে মানুষজন থাকেন না এমনটা কিন্তু নয়। প্রায় হাজারের কাছাকাছি মানুষজনের বাস ইংল্যান্ডের এই ভৌতিক গ্রামে। তবে সূর্যাস্তের পর সেখানকার মানুষেরা বাড়ির বাইরে পা দেন না। স্থানীয় বাসিন্দারা বলে থাকেন, ১৫ জন মৃত ব্যক্তির ভূত বাস করে এই গ্রামে।

আরোও পড়ুন : একতরফাভাবে ক্ষমতার অপব্যবহার…! মামলা হতেই তোলপাড় করা নির্দেশ হাইকোর্টের

রাতের অন্ধকার নামলেই জঙ্গল থেকে ভেসে আসে তাদের কান্নার আওয়াজ। এই ভৌতিক গ্রামের (Haunted Village) বাসিন্দারা দাবি করেন, এখানে যে ভূতগুলি রয়েছে তাদের প্রত্যেকের আওয়াজ ভিন্ন। তারা বলেন, কিছু হত্যাকারী ১৮০০ শতকে বেশ কিছু মানুষকে তরবারি দিয়ে কেটে এখানে ঝুলিয়ে দেয়। সেইসব অপঘাতে মৃত ব্যক্তিদের আত্মা ঘোরাফেরা করে গোটা গ্রাম জুড়ে।

Pluckley Image 2 740x340 1

এমনকি এই গ্রামে রয়েছে এক মৃত শিক্ষকের আত্মাও। সেই শিক্ষকের মৃত্যু কীভাবে হয়েছিল তা অবশ্য জানা যায় না। তবে এখানকার স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, এক শিক্ষকের আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় গোটা গ্রাম জুড়ে। এছাড়াও বিভিন্ন ভূত-প্রেত (Ghost) সম্পর্কিত বিভিন্ন ঘটনা এই গ্রামকে গ্রাস করে রেখেছে। সেসব নিয়েই এই গ্রাম হয়ে উঠেছে বিশ্বের সবথেকে হন্টেড প্লেস।


Soumita

আমি সৌমিতা। বিগত ৩ বছর ধরে কর্মরত ডিজিটাল সংবাদমাধ্যমে। রাজনীতি থেকে শুরু করে ভ্রমণ, ভাইরাল তথ্য থেকে শুরু করে বিনোদন, পাঠকের কাছে নির্ভুল খবর পৌঁছে দেওয়াই আমার একমাত্র লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর