বাংলা হান্ট ডেস্ক: ভোটের আবহেই বিগত বেশ কিছুদিন ধরেই চর্চায় রয়েছে বসিরহাট কেন্দ্রের সন্দেশখালি (Sandeshkhali) গ্রাম। আর এই সন্দেশখালি ইস্যুকে হাতিয়ার করেই এই কেন্দ্রে বিজেপির তুরুপের তাস রেখা পাত্র (Rekha Patra)। ২০২৪-র লোকসভা নির্বাচনে (Loksabha Election 2024) বিজেপির হয়ে ভোটে দাঁড়িয়েছেন সন্দেশখালি গ্রামের নিতান্ত এই গৃহবধূ।
তাঁর কাছেই ফোন এসেছিল খোদ দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। কিন্তু বিজেপির অন্যান্য প্রার্থীদের হলফনামা দেখে চোখ কপালে ওঠার জোগাড় হলেও বিজেপির এই নিতান্ত গৃহবধূ সদস্যের সেখানে দিনা আনা দিন খাওয়া সংসারে, দরমার বেড়া দেওয়া ঘর।
প্যাচপেচে কাদার উঠোন আর বাড়ির সর্বত্র স্পষ্ট দারিদ্রতার ছাপ। সেখানেই পরিবারের সদস্যদের নিয়ে কোনোরকমে দিন গুজরাণ করেন এই বিজেপি প্রার্থী। হিংসার ঘটনার পর থেকে ইদানিং সন্দেশখালি যেন ঘুরে দেখার জায়গা হয়েছে বহু মানুষের কাছেই। ঠিক যেমনটা হয়ে থাকে কোনো পর্যটনস্থলের ক্ষেত্রে।
এই সন্দেশখালিরই একটি প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দা, বিজেপির রেখা পাত্র।সন্দেশখালি কাণ্ডে শুরু থেকেই প্রতিবাদের অন্যতম মুখ তিনি। তবে শাহজাহান বাহিনীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার পর থেকেই তাঁদের ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের টাকা দেওয়াই বন্ধ করে দিয়েছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সরকার।
আরও পড়ুন: মেরে ফাটিয়ে দিল মহিলা পঞ্চায়েত প্রধানের নাক! তৃণমূল বনাম তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত আমডাঙা
এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে রেখা পাত্রের জা সাগরী পাত্র স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘আগে পেতাম। এখন কয়েক মাস আর পাই না। আমরা আন্দোলন করেছিলাম বলে দিদি লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।’ এছাড়া স্থানীয় মহিলারা জানিয়েছেন, ‘আমরা দিদির দলই করতাম। কিন্তু এই অত্যাচারের জন্য আমরা প্রতিবাদের রাস্তায় যেতে বাধ্য় হয়েছিল। পিঠে বানাতে ডাকবে। ফোন করে ডাকবে। অত্যাচার করবে। না মানলেই মিথ্যে মামলা। এসব কতদিন সহ্য করব?’
যদিও লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা না দেওয়ার অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে তৃণমূল নেতা অচ্যুতানন্দ নস্কর পাল্টা দাবি করেছন, ‘কী হয়েছে বলতে পারব না। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার কারোর বন্ধ করা হয়নি। মিথ্যে বলছেন তিনি।’