বাংলা হান্ট ডেস্ক : শুধু সিনেমা, অ্যাপ কিংবা পণ্যই নিষিদ্ধ হয় না। একই ধারে অনেক বই আছে যেগুলোর উপর রয়েছে নিষেধাজ্ঞা (Ban Books)। মনে করা হয় এই বইগুলি (Ban Books) অস্ত্রের চেয়ে কম কিছু নয়। কারণ অস্ত্র যেমন মানুষকে আঘাত করে, একটি বইও (Ban Books) তেমন মানুষের মানসিক চিন্তায় আঘাত করতে পারে। কারণ বই মানুষের ভাবনা চিন্তাকে সক্রিয় করে তোলে। কিছু বই আছে যার ক্ষুরধার শব্দ, বিপ্লব পযর্ন্ত তৈরি করতে পারে। হিংসা, অত্যাচার, ভেদাভেদ ইত্যাদির মত সমস্যা বয়ে আনে। আর তাই ভারতে এমন বই (Ban Books) রয়েছে যেগুলো পড়া কড়াকড়ি ভাবে নিষিদ্ধ। এই বই (Ban Books) পড়লেই জেল হওয়া নিশ্চিত।
দেখুন নিষিদ্ধ সেই বইয়ের (Ban Books) তালিকা:
১. দ্য ফেস অফ মাদার ইন্ডিয়া:
এই বইটির লেখক হচ্ছেন ক্যাথরিন মায়ো। এই বইটিতে ভারতের সংস্কৃতি এবং পুরুষদের দুর্বলতার কথা বলেছেন লেখক। এমনকি ক্যাথেরিন এই বইয়ের মাধ্যমে ভারতের প্রতি ব্রিটিশের দৃষ্টিভঙ্গি এবং ভারতকে স্ব শাসনের অযোগ্য মনে করা সেই কাহিনীও ফুটিয়ে তোলেন। আর তাই এই বই ভারতে নিষিদ্ধ। শুধু নিষিদ্ধ নয় একইধারে আমদানির উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি রয়েছে।
২. আনআর্মড ভিক্টরি:
এই বইটি লেখেন বার্ট্রান্ড রাসেল। এই বইয়ে ভারত ও চীনের মধ্যে ১৯৬২ সালের যুদ্ধের কথা উল্লেখ আছে। কিন্তু এতে ভারতকে বিশেষ করে সমালোচিত করেছিলেন লেখক। আর তাই এই বইটি প্রকাশের দিন কয়েকের মধ্যেই নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
৩. হিন্দু হেভেন:
হিন্দু হেভেন বইয়ের লেখক ম্যাক্স ওয়াইলি। এই বইটিও ভারতে নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে। যদিও ম্যাক এই বইটির মধ্যে ভারতে বসবাসকারী আমেরিকান মিশনারীদের কাজের কথা তুলে ধরেন। ভারত কি কি সমস্যায় ভুগছিল সে কথাও লেখেন। কিন্তু অনেকে এই বই অতিরঞ্জিত ভাষায় লেখা হয়েছে বলে মনে করেন। তাই এই বই নিষিদ্ধ করার পাশাপাশি আমদানিতে করাও বন্ধ।
আরও পড়ুন : অভিনয় থেকে দূরে! এই বয়সে এসে কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন ‘জন্মভূমির পিসিমা’ মিতা চ্যাটার্জী?
৪. দ্য ট্রু ফুরকান:
বইটির লেখক হচ্ছেন আল সাফি এবং আল মাহদী। এই বইটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কারণ এতে যেকোনো ধর্মের মানুষকে খ্রিস্ট ধর্ম গ্রহনে উৎসাহিত করা হচ্ছিল সেই বিষয়ই বর্ণনা করা আছে। তাই এই বই ভারতে আমদানি করা নিষিদ্ধ।
৫. আয়েশা:
বইটির মধ্যে দিয়ে কার্ট ফ্রিশলার নবী মুহাম্মদের স্ত্রী আয়েশার জীবন কাহিনী তুলে ধরেন। তবে অনেকের মতে এই বই নাকি মুসলিমদের অনুভূতিতে আঘাত করেছে। তাই এই বইটিকে ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়।
৬. ক্যাপ্টিভ কাশ্মীর:
এই বইয়ের মাধ্যমে আজিজ বেগ কাশ্মীর ও ভারতের সম্পর্ক তুলে ধরেন। কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভারতকে নিয়ে সমালোচনা করা হয়েছে। ভারতের অবস্থানকে নিপীড়ক নিষ্ঠুর বলে বর্ণনা করা হয়। তাই এই বই পড়া নিষিদ্ধ।
আরও পড়ুন : আরজিকর কাণ্ডে পথে নামার ঘোষণা মিঠুনের, মহাগুরুর সঙ্গে ছবির মুক্তি পেছোলেন রাজ
৭. নাইন আওয়ারস টু রামা:
এতে স্ট্যানলি ওলপার্ট নাথুরাম গডসেককে নিয়ে লেখেন। এই বইয়ে মহাত্মা গান্ধীকে তার নিরাপত্তার ভুলের কারণে খুন করা হয়েছে বলে বর্ণনা করা হয়। এমনকি নানারকম ষড়যন্ত্রের কথাও ফুটিয়ে তোলা হয়। ঠিক এই কারণেই ভারতে এই বই পড়া বারণ।
৮. রঙ্গিলা রসুল:
অত্যন্ত বিতর্কিত একটি বই। এই বইয়ের ভাষ, ছবি বিভিন্নভাবে জনরোষ সৃষ্টি করে। এমনকি মুসলিম সম্প্রদায়ের রাজনীতিও তুলে ধরা হয় এই বইয়ে। তাই এই বই ভারতের ব্যান করা হয়।
৯. লেডি চ্যাটারলিস লাভার:
বইটি লেখেন ডিএইচ লরেন্স। এই বইয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন অশ্লীলতা, পরকীয়ার মত অবৈধ সম্পর্ক ফুটিয়ে তোলা হয় বলেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
১০. অঙ্গারে:
বইটি মূলত উর্দুভাষীদের মধ্যে বিতর্ক তৈরি করে। জানা যায় লেখক এই বইয়ে মুসলিম সম্প্রদায়ের গোঁড়ামি এবং পুরুষতন্ত্রকে বর্ণনা করেছিলেন। এর ফলে ভারতে এই বইয়ের উপর কড়া নিষেধাজ্ঞা। এমনকি এর সমস্ত কপিও ভারত থেকে মুছে ফেলা হয়েছে।