ছেলে না হওয়ায় শুনতে হয়েছে কটুক্তি, ৯৬% নম্বর পেয়ে বাবা-মায়ের মুখ উজ্জ্বল করল মেয়ে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : ছেলে হয়নি, তাতে কি? মেয়েকেই ছোট থেকে বড় করে তুলেছেন ছেলের মতন করে। এবার সেই মেয়েই সম্মান বাড়ালেন বাবা-মায়ের। ভারতীয় স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার কাউন্সিল (CISCE) ১৪ তম ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশন (ICSE) ইন্ডিয়ান স্কুল সার্টিফিকেট (ISC) এর ফলাফল ঘোষনা হতেই বাজিমাত। সেই পরীক্ষায় ৯৬.২ শতাংশ নম্বর পেয়ে বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করলেন অন্তরা (Antara Gupta)।

প্রয়াগরাজের সেন্ট ম্যারেজ স্কুলের ছাত্রী অন্তরা গুপ্ত। চলতি বছর ইন্ডিয়ান সার্টিফিকেট অফ সেকেন্ডারি এডুকেশনের দশম শ্রেণীর পরীক্ষা দিয়েছিল সে। ফল প্রকাশ হতেই দেখা গেল ৯৬.২% নম্বর পেয়ে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে অন্তরা। মেয়ের এহেন সাফল্যে খুশির হাওয়া বইতে শুরু করেছে পরিবারে।

ছেলে না হওয়ায় সমাজে শুনতে হয়েছে বহু কটুক্তি। মন খারাপ হলেও সমালোচনায় কখনোই কান দেননি, নিধি গুপ্তা এবং পবন গুপ্তা। মেয়েকে তারা বড় করেছেন ছেলের মতই। এবার সেই মেয়েই সমাজের কাছে সম্মান বাড়ালো বাবা-মায়ের।

ঘটনা প্রসঙ্গে জানাতে গিয়ে এক সাংবাদিক সাক্ষাৎকারে অন্তরা জানায়, ‘ছোট থেকে কখনোই আমার কোন ইচ্ছেয় বাঁধা হয়ে দাঁড়াননি বাবা মা। আমি যা করতে চেয়েছি তাই করতে দিয়েছেন তারা। কখনোই পড়াশোনা নিয়ে চাপ সৃষ্টি করার চেষ্টা করেননি। আমার আজকের এই সফলতার পেছনে সবচেয়ে বড় কৃতিত্ব রয়েছে বাবা মায়ের’।

মেয়ের সাফল্যে খুশি অন্তরার মা নিধি গুপ্তা। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে তিনি জানান, ‘পড়াশোনার জন্য কখনোই জোর দেওয়া হয়নি। বরাবরই নিজের ইচ্ছে মতন সবকিছু করেছে অন্তরা’। অন্তরার বাবা পবন গুপ্তা জানান, ‘মেয়ের সাফল্যে আমি ভীষণ খুশি। প্রথম থেকেই আমার মেয়ে আমাকে গর্বিত করেছে। সমাজের চোখে আঙুল দিয়ে সে দেখিয়ে দিয়েছে মেয়েরাও সব পারে’।

দেশের সেবা করার ইচ্ছে অন্তরার। তাই আগামীতে আইএএস অফিসার হতে চায় সে। চলতি বছরের আইসিএসসি পরীক্ষায় প্রথম দশের মধ্যে নিজেদের জায়গা করে নিয়েছে, রুশীল কুমার, অনন্যা কার্তিক, শ্রেয়া উপাধ্যায়, অদ্যয় সরদেশাই, যশ মনিস ভাসিন, তনয় সুশীল শাহ, হিয়াস সংঘভি, অবিসি সিং এবং সম্বিত মুখোপাধ্যায়।

additiya

সম্পর্কিত খবর