‘খবরের কাগজে নাম ছাপতে আদালতে আসি না’, রনং দেহি জাস্টিস সিনহার জীবনী অবাক করবে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘খবরের কাগজে নাম ছাপাটা বড় কথা নয়। একটু খানি স্বস্তি পেতে কত মানুষ ছুটতে ছুটতে আদালতে আসছে। সাংবাদিকদের হয়তো হেডলাইন নিয়ে উৎসাহ থাকবে। কিন্তু আমরা এখানে শুধুমাত্র মানুষকে ন্যায় দিয়ে আসি। হেডলাইনে নাম ছাপার জন্য আসি না’। গত বছর হাইকোর্টে পঞ্চায়েত সংক্রান্ত এক মামলার শুনানির সময় একথাই বলেছিলেন তিনি। তিনি আর কেউ নন, বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)। বাংলায় দাঁড়িয়ে এই নাম এখন কারও অজানা নয়।

বর্তমান সময়ে যেসকল বিচারপতিকে নিয়ে আলোচনা হয়, সেই আলোচনার তালিকায় শীর্ষে রয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার নাম। বিচারপতি হিসেবে সর্বদা সত্যের পক্ষে অবিচল। কোনো রাজনৈতিক শক্তিকে ভয় না পেয়ে একের পর এক উল্লেখযোগ্য নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) এই বিচারপতি।

বেআইনি নির্মাণ হোক কিংবা তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারন সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংস্থা ও তার সম্পত্তির হিসাব, নিয়োগ দুর্নীতি, কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ, সমস্ত ক্ষেত্রেই কড়া হাতে নির্দেশ দিয়ে নজির গড়েছেন বিচারপতি। সমাজের একাংশের কাছে তিনি হয়ে উঠেছেন আইকন। আবার তার রায়ের সমালোচনায়ও বারে বারে সরব হয়েছেন সমাজের একাংশ। আজ আমরা সেই বিচারপতি অমৃতা সিনহার জীবনী আপনাদের সামনে তুলে ধরছি। (তথ্য Rightrasta দ্বারা সংগৃহীত)

নাম- বিচারপতি অমৃতা সিনহা (Justice Amrita Sinha)

জন্ম তারিখ – ২৪ মে ১৯৬৬

বয়স- ৫৭ বছর বয়সী

জন্মস্থান- ভারত

বৈবাহিক-বিবাহিত

স্বামীর নাম- প্রতাপচন্দ্র দে

জাতীয়তা- ভারতীয়

নেট ওয়ার্থ- ৭০ থেকে ৮০ লক্ষ টাকা

কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অমৃতা সিনহার (Justice Amrita Sinha) স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে পেশায় কলকাতা হাইকোর্টের আইনজীবী। চলতি বছরই এক মামলার সূত্র ধরে তার নাম শিরোনামে উঠে আসে। মামলার জল গড়িয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্তও। পরে অবশ্য জাস্টিস সিনহার স্বামী প্রতাপচন্দ্র দে-র বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত।

আরও পড়ুন: ৫০ লক্ষ টাকা ‘তোলা’ না দেওয়ার জের! প্রোমোটারকে মেরে হাসপাতালে পাঠাল তৃণমূল কাউন্সিলর!

অমৃতা সিনহা একজন সুপরিচিত এবং সম্মানিত বিচার বিভাগীয় ব্যক্তিত্ব। বিচারব্যবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। নিজেই বহু বছরের কর্মজীবন জুড়ে, তিনি ন্যায়বিচার, ন্যায্যতা এবং আইনের শাসনের প্রতি দৃঢ় নিষ্ঠা বজায় রেখেছেন। সেন্ট জেভিয়ার কলেজে শিক্ষা লাভ করেন বিচারপতি। এরপর ন্যাশনাল ল স্কুল অফ ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি থেকে আইন ডিগ্রি অর্জন করেন।

calcutta high court

২ মে, ২০১৮ সালে তিনি কলকাতা হাইকোর্টে অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিযুক্ত হন। বিচারপতির জ্ঞান এবং অধ্যবসায় তাকে কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারকের আসনে জায়গা করে দিয়েছে। ২৪ এপ্রিল, ২০২০ সালে অমৃতা সিনহা কলকাতা হাইকোর্টের স্থায়ী বিচারক হিসাবে নিযুক্ত হন। ২৪ ডিসেম্বর, ২০৩১ পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর