বাংলা হান্ট নিউজ ডেস্ক: কাল হায়দরাবাদে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর এক বল বাকি থাকতেই ৬ উইকেটে জয় পেয়েছে রোহিত শর্মার ভারতীয় দল। সিরিজের তিনটি ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পেয়েছেন অক্ষর প্যাটেল। তার পারফরম্যান্স আলাদা করে গুরুত্ব পাচ্ছে কারণ গোটা সিরিজও ভারতের ব্যাটাররা প্রশংসনীয় পারফরম্যান্স করলেও ভারতীয় বোলিং নিয়ে অনেক প্রশ্ন চিহ্ন থেকে গেছে।
সিরিজের তিনটি ম্যাচই ব্যাটিং বান্ধব পরিস্থিতিতে খেলা হলেও ব্যাটারদের আলাদা করে কৃতিত্ব দিতেই হয়। তেমনি কালকের ম্যাচের কথা বলতে গেলে বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদবের কথা বলতেই হবে। বিরাট কাল ধীর-স্থিরভাবে ব্যাটিং করে ইনিংসকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কাজটা করেছেন। সূর্যকুমার যাদব পাল্টা আক্রমণ করে অজি বোলারদের চূড়ান্ত বিপাকে ফেলেছেন। দুজনেই ম্যাচের শেষে অপরাজিত ইনিংস খেলতে পারেননি ঠিকই কিন্তু ওই দুজনের জন্যই মূলত কাল ভারতের রান তাড়া করতে কোন অসুবিধা হয়নি।
ম্যাচ শেষে নিজের বদলে সূর্যকুমার যাদবের প্রশংসা শোনা গেছে বিরাট কোহলির গলায়। হার্ড সাহসী এবং আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বিরাট বলেছেন, “সূর্য বিশ্বের যে কোনও পিচে এবং যে কোনও পরিস্থিতিতে এমন ব্যাটিং করতে সক্ষম। ও খুবই আগ্রাসী এবং ভয়ডরহীন ব্যাটিং করতে পারদর্শী।”
রান তাড়া করতে নেমে ৪ ওভারের মধ্যে রোহিত এবং রাহুলকে হারিয়ে চাপে পড়ে যায় ভারত। কিন্তু কাল ভারতের পরিত্রাতা রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন বিরাট কোহলি। সূর্যকুমার যাদবকে সঙ্গী করে ভারতকে জয়ের দিকে নিয়ে যেতে থাকেন তিনি। নিজে কখনোই অতিরিক্ত আগ্রাসী হননি, কিন্তু সময়ে সময়ে বেশ কিছু দৃষ্টিনন্দন শট খেলে বাউন্ডারি কুড়িয়ে তিনি ছন্দে রয়েছেন সেটা বেশ বুঝিয়ে দিচ্ছিলেন চিকু। অপরদিকে অভাবনীয় আগ্রাসী ব্যাটিং করেন সূর্যকুমার যাদব। যেভাবে অজি পেসারদের বিরুদ্ধে ছক্কা হাঁকাচ্ছিলেন তিনি, তাতে বোঝা যাচ্ছিল যে তার আত্মবিশ্বাস কোন পর্যায়ে রয়েছে।
শেষপর্যন্ত ৫ টি চার এবং ৫ টি ছক্কা সহ ৩৬ বলে ৬৯ গানের একটি তথ্য ইনিংস খেলে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হয়ে লং অফে ফিল্ডার থাকা সত্বেও বড় শট মারতে গিয়ে অজি অধিনায়কের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তিনি আউট হওয়ার পর কিছুটা চাপ বেড়েছিল ভারতীয় দলের ওপর। চেষ্টা করেও বেশ কিছুক্ষণ বড় শট খেলতে পারেননি কোহলি এবং নতুন ক্রিজে আশা হার্দিক পান্ডিয়া। শেষ তিন ওভারে জয়ের জন্য ৩২ রান প্রয়োজন ছিল ভারতের। আমি থেকেই ওভারে একটি বড় শট খেলে বাকিবল গুলিতে রান নিয়ে লক্ষ্য অর্জন করার নীতি নেন কোহলি ও হার্দিক তাদের এই নীতি কাজেও লাগে। যদিও শেষ ওভারে বিরাট কোহলির উইকেট তুলে কিছুটা ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল অজিরা কিন্তু প্রথম বলেই ছক্কা মেরে হার্দিকদের কাজটা সহজ করে দিয়ে গিয়েছিলেন কোহলি। শেষপর্যন্ত এক বল বাকি থাকতেই ম্যাচ শেষ করে দেন হার্দিক। ৪৮ বলে ৩টি চার ও ৪টি ছক্কা সহ ৬৩ প্রাণের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেন বিরাট। ১৬ বলে ২৫ রান করে অপরাজিত থাকেন হার্দিক।