বাংলাহান্ট ডেস্কঃ ফেলে দেওয়া আবর্জনা দিয়ে জৈব পদ্ধতিতে (Organic methods) বাড়ির ছাদে চাষ করছেন পিটার সিংহ এবং তাঁর স্ত্রী। ৭৪ বছর বয়সী পিটার সিং এবং ৬৪ বছর বয়সী তাঁর স্ত্রী নিনো কৌর দুজনে মিলে এই কাজ করছেন। ১৮৫ বর্গ মিটার অঞ্চল জুড়ে তাঁর বাগানে প্রতি বছর ১২০ কিলোগ্রাম মাছ চাষ হয়। এবং ৩০০০ হাজারেরও বেশি উদ্ভিদ জন্মায়। প্রচুর পরিমাণে ফল এবং সবজি উৎপাদন করেন তারা।
গত ৪ বছর ধরে তারা তাঁদের বাড়িতে জলে উদ্ভিত চাষ এবং ট্যাঙ্কে মাছ চাষ করে আসছেন। এই পদ্ধতিকে অ্যাকোয়াপোনিক্স পদ্ধতি বলা হয়। পিটার সিং জানান, ‘আমরা রান্নাঘরের বর্জ্য এবং বাগানের অন্যান্য জায়গা থেকে বর্জ্য পনর্ব্যবহার করে চাষের কাজে লাগাই। এখানে আমরা কোন রাসায়নিক দ্রব্য ব্যবহার করি না’। তিনি আরও জানান, ‘আমি দিল্লী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশুনা করে সেখানেই থাকার পরিকল্পনা করি। কিন্তু তারপর পাঞ্জাবের জলন্ধরে খামারের ব্যবসার পরিকল্পনা মাথায় আসে। তারপর ধীরে ধীরে চাষের কাজ শুরু করি’।
এরপর তারা গোয়ায় গিয়ে জৈব পদ্ধতিতে চাষের কাজ শুরু করেন। কিন্তু সেখানে জায়গার সমস্যা হওয়ায় তারা অ্যাকোয়াপোনিক্স পদ্ধতির সাহাযায় নেয়। পিটার জানান, ‘সেখানে ”২ ফুট X ৬ ফুট এবং ৬ ফুট দৈর্ঘ্যের এই ইউনিটিটি ২০০ ওয়াট আলো এবং ২৫০ লিটার জলের সহোযোগিতায় ১৮০ টি গাছের ফলন সম্ভব হয়। এখানে লেটুস, কালে, বেক চায় ফলানো সম্ভব হয়। আবার একটি ট্যাঙ্কে ১ কেজি ওজনের ৫ কেজি মাছ থাকতে পারে। তো সেখানে আমরা ১/২ কেজির ১০ কেজি মাছ চাষ করি’।
এই মাছের ট্যাঙ্কে পাওয়া বর্জ্যটি মূলত অ্যামোনিয়া মিশ্রিত থাকে। এই সিস্টেমে মাধ্যমে নিচে গিয়ে পুনর্ব্যবহার হয়ে যায়। এই ধরণের ৩ টি ট্যাঙ্ক রয়েছে তাঁদের। এছাড়াও পেঁয়াজ, লঙ্কা, লেবু, টমেটো, শিট এবং দই, শসা, করলা, আখড়া এবং বেগুনের মতো অনেক সবজি চাষ করেন।
‘ভারত আজ পর্যন্ত অলিম্পিকে সোনা পায়নি …’ ভরা মঞ্চে বেফাঁস মমতা