‘গভীর রাত পর্যন্ত কথা বলতাম, কোন সমস্যা ছিল না’ প্রথমবার মুখ খুললেন বালির বধূর স্বামী

বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আট বছর আগে দেখাশোনা করে বিয়ে হয়েছিল। অ্যাকাউন্সের কাজের কারণে বেশিরভাগ সময়টাই বাইরে থাকতেন স্বামী। রাতে ফিরে দুটো আড়াইটে অবধি গল্পও করতেন দুজনে মিলে। ভালোবাসায় কোন খামতি ছিল না। কিন্তু কোথা থেকে কি হয়ে গেল এই ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছেন না বালির পলাতক গৃহবধূ অনন্যা কর্মকারের স্বামী পলাশ কর্মকার।

বাড়িতে কাজ করতে আসা দুই রাজমিস্ত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা তৈরি করে একই সঙ্গে বাড়ি ছেড়েছিলেন একই বাড়ির দুই বউ রিয়া কর্মকার ও অনন্যা কর্মকার। সঙ্গে আবার নিয়ে গিয়েছিলেন রিয়ার সাত বছরের ছেলে আয়ুশকেও। বাড়িতে থেকে গোপনেই প্রেমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেন এই দুই জা। কিন্তু প্রেমিকদের সঙ্গে পালিয়ে গেলে, অর্থের টানাটানিতে ফিরে আসতেই তাঁদের আসানসোল স্টেশন থেকে পাকড়াও করে নিশ্চিন্দা থানার পুলিশ।

bvjbvbvbv

এদিন এই বিষয়ে মুখ খুললেন অনন্যা কর্মকারের স্বামী পলাশ কর্মকার। বাড়ির বড় ছেলে পলাশ জানান, ‘সম্বন্ধ করেই ৮ বছর আগে আমাদের বিয়ে হয়। প্রতিবেশিরা কেউ বলতে পারবেন না যে আমাদের মধ্যে কোনদিন ঝগড়া হয়েছে। কাজের সুবাদে বেশিরভাগ সময়টাই বাড়ির বাইরে থাকতাম। আর রাতে ফিরে এসে রাত দুটো আড়াইটে অবধি গল্প করতাম। কোন সমস্যা ছিল না আমাদের মধ্যে। বিয়ের আগে অন্য কারোর সঙ্গে প্রেম করার কথাও ভাবিনি, আর সেই সামর্থও ছিল না। খুব কষ্ট করেই বড় হয়েছি’।

পলাশ আরও বলেন, ‘ওরা নিজেদের জীবন নিয়ে কি করেবে সেটা ওদের ব্যাপার। কোথায় যাবে সেটাও ওদের বিষয়। তবে ভাইয়ের ছেলে আয়ুশকে সুস্থভাবে ফিরিয়ে আনাটাই এখন আমাদের প্রধান লক্ষ্য। ওদের সঙ্গে কোনরকম সম্পর্ক রাখতে চাই না আমরা’।


Smita Hari

সম্পর্কিত খবর