বাংলা হান্ট ডেস্ক : আজ সকাল থেকেই একের পর এক টুইট করে তৃণমূলকে আক্রমণ করে গেছেন শুভেন্দু অধিকারী। এবার পাল্টা দিলেন মমতাও। কারও নাম করেও ঠারেঠোরে বুঝিয়ে দিলেন তাঁর নিশানায় কে রয়েছেন! নিয়োগ দুর্নীতি প্রসঙ্গে আজ সোমবার নাম না করেই শুভেন্দু অধিকারীকে (Suvendu Adhikari) তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধী দলনেতাকে ‘ডাকু’ বলে সমালোচনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
সোমবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কার ইশারায় আমাদের লোকদের রোজ কেন্দ্রীয় সংস্থা বিরক্ত করছে? অমিত শাহ যার ইশারায় চলছেন, এখানে যে তাঁর মুখ্য উপদেষ্টা, ও একটা বড় ডাকু। শিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত দুর্নীতি যা হয়েছে তার শুরুটা ওই করেছিল।’ এর আগেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, পুরুলিয়া-সহ বিভিন্ন জেলায় শুভেন্দু চাকরি বিক্রি করেছিলেন। এদিন সরাসরি ডাকাত বলেই সমালোচনা করলেন মমতা।
অবশ্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যের পর এ ব্যাপারে শুভেন্দুর এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। এই প্রসঙ্গে বিজেপি মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘মানুষ জানে বাংলায় ডাকাতদের সর্দার কে। তৃণমূলকে দেখলেই যখন লোকে চোর চোর বলছেন, তখন মুখ্যমন্ত্রীর এসব কথা গভীর হতাশার নামান্তর।’
মমতা এদিন আরও বলেন, ‘দুর্নীতি সংক্রান্ত কোনও অভিযোগ এলেই দল ব্যবস্থা নিচ্ছে। কিন্তু তারপরেও তৃণমূলের নেতাদের কেন্দ্রীয় সংস্থা দিয়ে হেনস্থা করা হচ্ছে একজনেরই ইশারায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘কারও বাড়ি থেকে অ্যাডমিট কার্ড পাওয়া গেলেই তাঁকে দুর্নীতিপরায়ণ বলা যায় না। আমি যখন কেন্দ্রের মন্ত্রী ছিলাম তখন অনেকেই এসে চাকরির সুপারিশের জন্য বলত। আমিও সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রীকে চিঠি লিখে বিষয়টা দেখতে বলতাম। এতো স্বাভাবিক ঘটনা।’
বিজেপি রাজনৈতিক চক্রান্ত করে বেছে বেছে তৃণমূলের বিধায়কদের হেনস্তা করছে। বিজেপি নেতারা যাঁদের নাম বলছেন, তাঁদের ডেকে পাঠাচ্ছে ইডি বা সিবিআই। মুখ্যমন্ত্রী এটাই বোঝাতে চেয়েছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহল।