বাংলা হান্ট ডেস্ক: বর্তমান সময়ে অনেকেই প্রথাগতভাবে চাকরির মাধ্যমে জীবনযাপন না করে নিজের ইচ্ছেকে প্রাধান্য দিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ বা স্টার্স্টআপ (Startup) শুরু করছেন। পাশাপাশি, সঠিক পরিকল্পনার মাধ্যমে এই উদ্যোগগুলিতে সফল হচ্ছেন অনেকেই। যদিও, এই কাজে নিতে হয় ঝুঁকিও। তবে, জীবনে সফলতা পেতে গেলে ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয় প্রতিটি মানুষকেই। এমতাবস্থায় বর্তমান প্রতিবেদনে আজ আমরা এমন একজনের প্রসঙ্গ উপস্থাপিত করব যিনি চাকরি ছেড়ে নিজের স্টার্টআপের উপর ভর করেই উপার্জন করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। সর্বোপরি, তিনি অনুপ্রাণিত করেছেন বাকিদেরকেও।
কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে নিজের পড়াশোনা শেষ করলেও মান্ডির অশ্বনী রাঠী চাকরি ছেড়ে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। আর আজ সেখানেই প্ৰতি বছর আসছে ৭০ লক্ষ টাকার টার্নওভার। মূলত, অশ্বনী স্লেট এবং পাথরের ছোটো ছোটো টুকরো থেকে মোজাইক (টাইল) তৈরির কাজ শুরু করেন। পাশাপাশি, তাঁর এই স্টার্টআপে বর্তমানে তিনি ১৫ জনের কর্মসংস্থানও করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর স্টার্টআপ স্কিমের অধীনে ১৫ লক্ষ টাকা লোন নিয়ে তিনি এই কাজ শুরু করেন। ইতিমধ্যেই অশ্বনীর কাছে হিমাচল ছাড়াও পাঞ্জাব, দিল্লি, হরিয়ানা সহ একাধিক রাজ্য থেকে অর্ডার আসতে শুরু করেছে।
এই প্রসঙ্গে দৈনিক ভাস্করের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে যে, অশ্বনী ২০১৫ সালে রোহতকের মহর্ষি দয়ানন্দ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সায়েন্স ইঞ্জিনিয়ারিং-এ B.Tech করেন। তারপরে দিল্লি ও গুরুগ্রামের বেশ কয়েকটি কোম্পানিতে সফ্টওয়্যার ডেভেলপার হিসাবে কাজও করেন তিনি। কিন্তু অশ্বনী কখনোই ওই কাজটি পছন্দ করেননি। বরং তাঁর একটি অন্য পরিকল্পনা ছিল।
অশ্বনীর পরিবারের সদস্যরা আগে থেকেই পাথরের কাজ করতেন। এমতাবস্থায়, সেই কাজই আধুনিক ভাবে করতে শুরু করেন তিনি। পাশাপাশি, ১৫ লক্ষ টাকার যন্ত্রপাতি দিয়ে মোজাইক তৈরির কাজও শুরু হয়। বর্তমানে তাঁর কাজ যথেষ্টভালো ভাবে চলছে। এমতাবস্থায়, অশ্বনী তাঁর কর্মচারীদের মাসিক ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকা বেতন দেন বলেও জানা গিয়েছে।