ছুটি নিয়ে বচসা, এক ঘুষিতে অঙ্কের শিক্ষকের নাক ফাটালেন প্রধান শিক্ষক

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুলে পড়ুয়াদের নিজেদের মধ্যে হাতাহাতি নতুন ঘটনা নয়। কিন্তু তাবলে খোদ প্রধান শিক্ষক? অসম্ভব শোনালেও সত্যি। মেরে স্কুলের অঙ্কের মাস্টারমশাইয়ের নাক ফাটিয়ে দিলেন প্রধান শিক্ষক। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার দেগঙ্গার বাজিতপুর উত্তরপাড়া এমএসকে স্কুলে। ঘটনার জেরে কার্যতই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়েছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে।

জানা যাচ্ছে আক্রান্ত অঙ্কের শিক্ষকের নাম কার্তিক পাল। বহুদিন যাবৎ অসুস্থ তিনি। অভিযোগ বৃহস্পতিবার টিফিনের পর ডাক্তার দেখাতে যাবেন বলে প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষের কাছে ছুটি চাইতে যান কার্তিকবাবু। কিন্তু ছুটি দেননি প্রধান শিক্ষক। এরপর বিনা অনুমতিতেই প্রধান শিক্ষককে না জানিয়ে স্কুল থেকে বেরিয়ে যান তিনি। শুক্রবার অবশ্য ঠিক সময় মতই আসেন স্কুলে। আর বৃহস্পতিবারের এই ঘটনাকে নিয়ে শুরু হয় বিবাদ। শুধু তাই ই নয়, অঙ্কের শিক্ষকের দাবি প্রধান শিক্ষকের কাছে প্রায় ২ বছর ধরে ৫০ হাজার টাকা পান তিনি। সেই টাকা এখনও ফেরত দেননি তিনি। তা নিয়েও গন্ডগোল বাঁধে বলেই জানা যাচ্ছে।

আক্রান্ত শিক্ষক কার্তিক পালের দাবি, শুক্রবার স্কুলের ঢোকার পরই কিছুক্ষণের মধ্যেই তাঁকে এলোপাথাড়ি মারতে থাকেন প্রধান শিক্ষক। মেরে নাকও ফাটিয়ে দেওয়া হয়। যন্ত্রনায় ছটফট করতে করতে মাটিতে পড়ে কাতরাতে থাকেন তিনি। এই ঘটনা দেখে পড়ি কি মরি করে দৌড়ে আসেন বাকি লোকজন। কোনওমতে কার্তিকবাবুকে উদ্ধার করে আশঙ্কাজনক অবস্থায় নিয়ে যাওয়া হয় দেগঙ্গা বিশ্বনাথপুর হাসপাতালে। সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে স্থানান্তরিত করা হয় বারাসাত হাসপাতালে।

স্বভাবতই ঘটনার জেরে তীব্র আতঙ্ক ছড়ায় স্কুলে। হুলুস্থুলর মধ্যে যে যার মতন ভয়ে ছোটাছুটি করতে থাকে পড়ুয়ারা। স্কুল ছেড়ে পালিয়ে যায় প্রায় সকলেই। প্রথমে পুরো অস্বীকার করেন প্রধান শিক্ষক জয়দেব ঘোষ। তিনি দাবি করেন পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন ওই শিক্ষক। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে সাক্ষী দেন অভিভাবকরাই। প্রধান শিক্ষককে মারপিট করতে দেখেছেন বলে জানান তাঁরা। অভিযুক্ত শিক্ষকরে গ্রেপ্তার করেছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ।

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর