বাংলাহান্ট ডেস্ক : ফলের দাম (Fruits Price) নিয়ে দুই জন শিক্ষকের (Teacher) মধ্যে চরম বচসার সৃষ্টি হলো। কাটোয়ার (Katwa) চুরপুনি অবৈতনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ঘটে যাওয়া ঘটনার জেরে চরম বিশৃঙ্খলার (Chaos) সৃষ্টি হয়েছে গোটা এলাকা জুড়ে। ঘটনাটি আসলে কী ঘটেছিল? মিড ডে মিলের জন্য নেতাজির জন্ম বার্ষিকী পালন উৎসবে ফল কিনতে গিয়ে খরচ হয় বেশ কিছু টাকা। এই টাকার হিসেব নিয়েই ছাত্রদের (Students) সামনে মারামারি (Fighting) শুরু করেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এবং সিপিএমের শিক্ষক সংগঠনের (ABTA) একজন শিক্ষকের মধ্যে।
এই সিপিএমের শিক্ষক তথা কৌশিক দের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় যে, তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তথা প্রসেনজিৎ চন্দ্রকে বেধড়ক মারধর করেন, এবং এর ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েন ওই প্রধান শিক্ষক। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া মহকুমা জেলা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় চিকিৎসার জন্য। সংবাদ সূত্রে জানানো হয়েছে যে, প্রথমে তাঁরা স্কুলের সব ছাত্রদের সামনেই মারামারি করছিলেন। তারপর ঘটনাটি ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করে এবং শেষ পর্যন্ত থাকতে না পেরে প্রসেনজিৎ অর্থাৎ প্রধান শিক্ষক তাঁর স্কুল থেকে এসে নিজেকে রক্ষা করতে চিৎকার করতে শুরু করেন।
এই চিৎকার শুনেই স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে কাটোয়া মহকুমা জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। এবং পাশাপাশি এই ঘটনাটি যাতে সুষ্ঠু ভাবে সমাধান হতে পারে, তাই তিনি কাটোয়া থানায় কৌশিক দের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। এই ঘটনার প্রসঙ্গে যখন কৌশিক দের কাছে জানতে চাওয়া হয় যে তিনি এমনটা কেন করলেন তিনি বলেন যে, ছাত্রদের খাওয়ানোর জন্য আপেল কেনা হয়েছিল।
এরপর তিনি যখন সেই আপেলের দামের হিসেব প্রসেনজিৎ বাবুকে দেন, প্রসেনজিৎ বাবু সেই শুনে তাঁকে ধাক্কা মারেন এবং তিনিও নিজের রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পেরে তিনিও তাঁকে একটি ধাক্কা দেন। এর বেশী কিছু নয়। অন্যদিকে প্রসেনজিৎ চন্দ্রের অভিযোগ এই যে, কৌশিক দে ইচ্ছে করেই রাজ্য সরকারের এই কর্মসূচী অর্থাৎ ছাত্রদের মরসুমি ফল দেওয়ার কাজটিকে বদনাম করছেন।