জোর করে ছাত্রীদের অন্তর্বাস খোলাচ্ছেন প্রধান শিক্ষক! তুমুল বিক্ষোভ আসানসোলের স্কুলে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : স্কুল ছাত্রীদের অন্তর্বাস এবং প্যান্ট খুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে রণক্ষেত্র আসানসোলের বারাবনি। ঘটনায় অভিযোগের তীর স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ঘটনার জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।

চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে বারাবনির পুঁচড়া ভগবান মহাবীর দিগম্বর জৈন সড়ক হাইস্কুলে। অভিযোগ ছাত্রীদের স্কুলের বাথরুমে নিয়ে গিয়ে অন্তর্বাস এবং লেগিংস প্যান্ট খুলিয়ে দেওয়ান প্রধান শিক্ষক। এরপরই কাঁদতে কাঁদতে স্কুল থেকে বেরিয়ে আসে ছাত্রীরা। অভিভাবকদের কাছে অভিযোগ জানায় তারা ব্যাপারটি নিয়ে।

ছাত্রীদের দাবি, গত দশ পনেরো দিন ধরেই চলছে এই ব্যাপারটি। অন্তর্বাস এবং লেগিংস পরে স্কুলে আসলেই তা খুলতে বাধ্য করছেন প্রধান শিক্ষক। তারা জানায়, ‘হেডস্যার বলেছেন, গরম পড়ে গেছে। তাই আর লেগিংস বা অন্তর্বাস পরার দরকার নেই।’

ঘটনাটি জানাজানি হতেই বৃহস্পতিবার স্কুল ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান অভিভাবকরা। অন্তর্বাস হাতে নিয়েই চলে বিক্ষোভ। তাঁদের দাবি, স্কুলটিতে ছেলে এবং মেয়েরা একসঙ্গে পড়া শোনা করে। সেখানে ছাত্রীরা অন্তর্বাস এবং লেগিংস না পরলে তাদের সম্মানের ব্যাপারে সমস্যা হতে পারে। প্রধান শিক্ষক কেন এই বিষয়ে নাক গলাতে আসবেন? ছাত্রীদের গরম লাগছে নাকি ঠান্ডা তা নিজেরাই বুঝে নেবে তারা। অভিভাবকদের সঙ্গেই বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারাও। প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবি তুলে গ্রামে সই সংগ্রহও করা হয়৷ ক্রমেই রণক্ষেত্রের আকার নেই পরিস্থিতি। শেষ মেষ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে বারাবনি থানার পুলিশ।

barabani

অন্যদিকে সমস্ত অভিযোগ অবশ্য অস্বীকার করা হয়েছে স্কুলের তরফে। প্রধান শিক্ষক এবং অন্যান্য শিক্ষকদের দাবি, গরম পড়ে গেছে। তাই ছাত্রীদের লেগিংস খুলতে বলা হয়েছিল। কিন্তু অন্তর্বাস খুলে দেওয়া হয়েছে এই অভিযোগ সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি স্কুল ইউনিফর্ম বিতর্ক পৌঁছেছিল সুপ্রিম কোর্ট অবধি। সেই মামলায় রায় দেওয়া হয় যে দেশের প্রতিটি ছাত্রছাত্রীকেই ক্লাস চলাকালীন স্কুলে নির্দিষ্ট পোষাক পরে থাকতে হবে। এক্ষেত্রে লেগিংস স্কুল ইউনিফর্মের অংশ নয়। ফলে কোন দিকে গড়ায় এই বিতর্কের জল তাই এখন দেখার।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর