বর্তমানে বিজ্ঞান যে কতটা অগ্রগতির পথে তা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখেনা। আর সেই দিক দিয়ে বিজ্ঞানের এই আশীর্বাদ মানুষের কাছে কিছুক্ষেত্রে অভিশাপ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। কারণ এখন মানুষ বেশি কুঁড়ে আর অলস হয়ে গেছে। যেকোনো কাজ তাড়াতাড়ি আর কম শক্তি প্রয়োগ করেই চলতে চায়। আর তার ফলে শরীরে দানা বাঁধছে কঠিন রোগ। এখন সবথেকে কঠিন রোগের মধ্যে অন্যতম হোল হাই ব্লাড প্রেশার। কারণ হাই ব্লাড প্রেশার মানুষকে একটু একটু করে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে। আর হাই ব্লাড প্রেশার থেকে রেহাই মিলতে আজ থেকে সিঁড়ি ঠেলে ওপর নিচ করা উচিত।
কারণ এতে শরীর ভালো থাকে স্বাস্থ্য ঠিক থাকে। এবার আপনার মনে হতেই পারে এই বিষয় যুক্তিসঙ্গত নয় কিছুদিন আগে প্রকাশিত একটি গবেষণা পত্রে এমনটা দাবি করা হয়েছে যে সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করার সময় সারা শরীরে রক্তের প্রবাহ এতটা বেড়ে যায় যে রক্তচাপ স্বাভাবিক মাত্রায় নেমে আসতে সময় লাগে না। সেই সঙ্গে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের মতো মারণ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও কমে।
এখানেই শেষ নয়, সিঁড়ির সঙ্গে বন্দুত্ব পাতালে মেলে আরো অনেক শারীরিক উপকার। যেমন হার্টের কর্ম ক্ষমতা বাড়ে, শরীর ফিট থাকে, দেহের অতিরিক্ত মেদ ঝড়ে যায়।জয়েন্টের কর্ম ক্ষমতা বাড়ে, পেশির সচলতাও বেড়ে যায়। তাই শরীরের এতগুলো উপকারিতা বজায় রাখার জন্য মাঝে মাঝে সিঁড়ির ব্যবহার তো করা যেতেই পারে। তবে সেক্ষেত্রে মাথায় রাখা দরকার যদি তেমনভাবে কোনো শরীরে সমস্যা থাকে তবে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া প্রয়োজন।
কারণ নাহলে ভুল হতে পারে. কথার কথা কারো হার্টের সমস্যা আছে সেক্ষেত্রে সে বেশি সিঁড়ি দিয়ে ওঠা নামা করলে তার বুকে ব্যাথা হতে পারে। এমনকি হাঁপানি হতে পারে তাতে বিপদ বাড়তে পারে। বা কারোর যদি হাঁটুর সমস্যা থাকে সেক্ষেত্রে হাঁটুর ব্যাথা আরও বেড়ে যেতেই পারে। পরে পায়ে যন্ত্রনা বা অপারেশন করতে হতে পারে তাই সব ক্ষেত্রে বিচার বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।