Bangla Hunt Desk: করোনা আবহের মাঝেই কেরালা (Kerala) থেকে উঠে এল বেশ কয়েকটি নৃশংস্য ঘটনার দৃষ্টান্ত। শিক্ষার দিক থেকে এগিয়ে থাকলেও, পর পর দু’টি ধর্ষণের ঘটনায় নিন্দার শিকার হতে হল মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে। করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট দেওয়ার নাম করে বাড়িতে ডেকে এনে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল এক স্বাস্থ্যকর্মীর নামে।
ঘটনার বিবরণ
অভিযোগ উঠেছে তিরুঅনন্তপুরমের প্রদীপ নামে এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। সূত্র থেকে জানা গেছে, কিছুদিন আগেই করোনা পজেটিভ হওয়ায় ২ সপ্তাহ কোয়ারান্টিনে ছিলেন এক নার্স মহিলা। কোভিডের অ্যান্টিজেনের পরীক্ষা করালে, তাঁর রিপোর্ট নেগেটিভ এলে, তিনি আবার তাঁর কাজে যোগ দিতে চান। কিন্তু যে বাড়িতে তিনি কাজ করেন, সেখানে তাঁর করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট দেখাতে বলেছে। নিজের করোনা নেগেটিভ সার্টিফিকেট নেওয়ার জন্য ওই স্বাস্থ্যকর্মী মহিলাকে নিজের বাড়িতে ডেকে পাঠান।
জোর করে নিগ্রহ করা হয়
নিগৃহীতা বছর চুয়াল্লিশের মহিলার অভিযোগ অনুসারে, ৩ রা সেপ্টেম্বর তিনি পৌঁছানোর পর ওই হেলথ ইনস্পেক্টরের ফ্ল্যাট ফাঁকাই ছিল। সার্টিফিকেট দেওয়ার নাম করে তাঁকে সেখানে গোটা একটা দিন হাত পা বেঁধে রেখে জোর করে ধর্ষণ করা হয়। এমনকি তাঁকে হুমকিও দেওয়া হয়, যদি সে শারীরিক সম্পর্কে নারাজ থাকে, তাহলে তাঁর নামে কোয়ারান্টিন ভেঙে বেরিয়ে আসার অভিযোগ করা করা হবে।
তদন্তে নেমেছে পুলিশ
সেখান থেকে কোনক্রমে পালিয়ে এসে ওই মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। সার্কল ইনস্পেক্টর সুনীশ এবিষয়ে জানিয়েছেন, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ সহ নানা ধারায় ওই স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই মহিলার মেডিক্যাল টেস্ট করানো হয়েছে এবং তদন্তও চলছে। ইতিমধ্যেই প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের ওই জুনিয়র হেলথ ইনস্পেক্টরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তোপ দাগছে বিরোধীরা
অভিযুক্ত স্বাস্থ্যকর্মীকে সাসপেন্ড করে, তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের স্বাস্ব্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা। এমনকি ওই অভিযুক্ত ব্যক্তির নামে মহিলা কমিশনও মামলা দায়ের করেছে বলে জানা গিয়েছে। কিছুদিন পূর্বেই অ্যাম্বুল্যান্সের চালক দ্বারা এক করোনা রোগীর ধর্ষণের খবর এবং তারপর এই স্বাস্থ্যকর্মী দুই ঘটনায় বিরোধীরা ঘিরে ধরেছে মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়নকে।