বাংলাহান্ট ডেস্ক : একটি মাত্র সিরিঞ্জ, আর সেই সিরিঞ্জ দিয়েই একের পর এক টিকা নিচ্ছেন পড়ুয়ারা। একজন বা দুজন নয়, ৩০ জন পড়ুয়াকে একটি মাত্র সিরিঞ্জ দিয়ে টিকা দেওয়ার গুরুতর অভিযোগ উঠল এক জিতেন্দ্র নামের এক স্বাস্থ্যকর্মীর বিরুদ্ধে। এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমতো হইচই পড়ে যায় মধ্যপ্রদেশের সাগরে।
মধ্যপ্রদেশের সাগর শহরের একটি বেসরকারি স্কুলে পড়ুয়াদের টিকা দেওয়ার দায়িত্ব পড়েছিল জিতেন্দ্রর উপর। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে, তিনি স্কুলের ৩০ জন পড়ুয়াকে টিকা দেওয়ার ক্ষেত্রে ব্যবহার করেছেন একটিমাত্র সিরিঞ্জ। এই ঘটনাটি সামনে আসতে জিতেন্দ্র তার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের উপর দায় চাপিয়ে দিয়েছে। স্কুলের পড়ুয়াদের অভিভাবকেরা জিতেন্দ্রর বক্তব্যে একটি ভিডিও রেকর্ডিং করেন। সেই ভিডিওতে তাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “,যে ব্যক্তি আমাকে টিকা দেওয়ার দায়িত্ব দিয়েছিলেন তিনি আমাকে মাত্র একটি সিরিঞ্জ প্রদান করেন। তাই ওই একটি সিরিঞ্জ দিয়ে আমি সবাইকে টিকা দিতে বাধ্য হয়েছি।” এমনকি ভিডিওতে জিতেন্দ্র এও দাবি করেন তিনি ওই ব্যক্তিকে চেনেন না।
উল্লেখ্য এইডস রোগের বারবারন্ত কমাতে ১৯৯০ সালে একটি সিরিঞ্জ একবার মাত্র ব্যবহারের আইন প্রচলিত হয়। একটি সিরিঞ্জ দিয়ে একাধিক ব্যক্তিকে ইনজেকশন পুশ করা আইনত অপরাধ। জিতেন্দ্র ভিডিওতে স্বীকার করেন তিনি এই বিষয়ে ওয়াকিবহল। কিন্তু এই ঘটনার দায় তিনি নিজের উপর নিতে নারাজ। তার দাবি,”আমি কেন দোষী হব? উপর মহল যদি আমাকে একটি সিরিঞ্জ দেয় তাহলে আমার তো কিছু করার নেই!”
ইতিমধ্যেই ‘এক সিরিঞ্জ এক টিকা’র আইন লঙ্ঘন ও কাজে গাফিলতির অভিযোগে জিতেন্দ্রর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে সাগর প্রশাসন। ওই জেলার টিকাকরণের দায়িত্বে থাকা টিকাকরণ আধিকারিক রাকেশ রোশনের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে বিচার বিভাগীয় তদন্ত।