বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘদিন ধরেই শিরোনামে রয়েছে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি (Primary Recruitment Scam)। ইতিমধ্যেই এই মামলায় নাম জড়িয়েছে একাধিক হেভিওয়েটের। এবার প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে ইডির (ED) মামলা নিয়েই সামনে আসছে বড় খবর! জানা যাচ্ছে, শুক্রবার কেন্দ্রীয় এজেন্সি সব অভিযুক্তকে আদালতে উপস্থিত করাতে পারেনি। সেই কারণে পিছিয়ে যায় চার্জ গঠনের প্রক্রিয়া।
প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতিতে (Primary Recruitment Scam) দ্রুত চার্জ গঠনের চেষ্টা চলছে!
গতকাল এই মামলার সব অভিযুক্ত আদালতে হাজির না হওয়ার কারণে ফের একবার চার্জ গঠনের শুনানি পিছিয়ে যায়। আগামী ২৩ ডিসেম্বর আবার শুনানির দিন নির্ধারিত হয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামিনের আর্জির প্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্টের তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়। তার ফলেই দ্রুত চার্জ গঠনের চেষ্টা চলছে বলে খবর। একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে সূত্র উদ্ধৃত করে এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি (Enforcement Directorate) সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্তের সংখ্যা ৫৪। এর মধ্যে রয়েছে ২৫টি সংস্থা। বাকি ২৯ জন ব্যক্তি। এখনও অবধি সব মিলিয়ে আদালতে ৪৬ জন অভিযুক্ত হাজিরা দিয়েছেন বলে খবর। তবে এই মামলার চার্জ গঠনের ক্ষেত্রে প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য।
আরও পড়ুনঃ জমি অধিগ্রহণ নিয়ে রাজ্যের পক্ষে বিরাট রায়! কী বলল কলকাতা হাইকোর্ট?
ইডির আইনজীবীদের তরফ থেকে জানানো হয়, প্রবাসী কল্যাণময়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, পার্থর জামাই অভিযুক্ত এবং তিনি পার্থর প্রয়াত স্ত্রীর নামের একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার শীর্ষ কর্তা। এছাড়া কল্যাণময়ের মায়ের নামেও একটি সংস্থা রয়েছে বলে খবর। এই দু’টি সংস্থাই অভিযুক্ত বলে দাবি তদন্তকারী সংস্থার। সেই কারণে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার চার্জ গঠনের ক্ষেত্রে পার্থর জামাইয়ের হাজির থাকা জরুরি।
এদিকে কল্যাণময়ের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, কিছুদিনের মধ্যেই কলকাতায় এসে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেবেন তাঁর মক্কেল। তাঁর ফ্লাইটের টিকিটের কপি আদালতে জমা করা হয় বলে খবর। অন্যদিকে প্রাথমিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলার (Primary Recruitment Scam) এদিনের শুনানিতে লিপস অ্যান্ড বাউন্ডস সংস্থার কোনও প্রতিনিধি ছিলেন না। সশরীরে হাজিরা দেননি কালীঘাটের কাকু সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রও। তাঁদের আইনজীবী সোমনাথ সান্যাল বলেন, ‘সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র সিবিআই হেফাজতে রয়েছেন। সেই কথা আদালতে জানানো হয়েছে। আর লিপস অ্যান্ড বাউন্ডসের ডিরেক্টররা চন্দন বন্দ্যোপাধ্যায় নামের একজন ব্যক্তিকে প্রতিনিধি হিসেবে মনোনীত করেছেন। আগামী শুনানিতে তিনি আদালতে হাজির থাকবেন’।