বাংলাহান্ট ডেস্কঃ মহাকাশে বায়ু নেই। বায়ু না থাকার কারনে সেখানে শব্দও নেই। আপনি জেনে অবাক হবেন প্রাণপণে চিৎকার করলেও আপনার থেকে ১ ফুট দূরে থাকা মানুষও সেই শব্দ শুনতে পারবে না। যদিও মহাশূন্যে বেশ তরঙ্গ ভেসে বেড়ায়, যাকে আধুনিক যন্ত্রের সাহায্যে শব্দ তরঙ্গে পরিবর্তন করে শুনতে পান বিজ্ঞানী ও মহাকাশচারীরা। এবার এমনই একটি যন্ত্রে মহাকাশ থেকে ভেসে আশা এক রহস্যময় শব্দ ধরা পড়েছে। যা শুনতে হুবহু হৃদযন্ত্রের মতো। আর এই শব্দ শুনে যারপরনায় আশ্চর্য হয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
জানা যাচ্ছে, পৃথিবীর থেকে ১৫ হাজার আলোকবর্ষ দূর থেকে এই শব্দ ভেসে আসছে। একটি গ্যাসের মেঘের কাছাকাছি এই শব্দের উৎস। জানা যাচ্ছে শব্দটি গামা তরঙ্গ। কিন্তু বিজ্ঞানীরা ভেবে পাচ্ছেন না এই শব্দ শক্তি কোথা থেকে পাচ্ছে, এর সঠিক উৎসই বা কি। এই প্রসঙ্গে আপনাদের জানিয়ে রাখি, এক বছরে আলো যতদূর যেতে পারে তাকে এক আলোকবর্ষ বলে।
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই গ্যাসের মেঘটির ঠিক মধ্যিখান থেকে ভেসে আসছে রহস্যময় হৃদকম্পন এর শব্দটি। অনেকেই মনে করছেন ব্ল্যাক হোলের পাশে প্রোটনের কারনেই এই শব্দ তৈরি হচ্ছে এবং মহাশূন্যে ভেসে বেড়াচ্ছে। যদিও এখনো কোনো সুস্পষ্ট ব্যাখা দিতে পারেননি কেউ।
এছাড়াও,২৮ শে এপ্রিল থেকে শুরু হয়েছে, আকাশে একটি মৃত নক্ষত্র থেকে ধারাবাহিকভাবে একটি সংকেত আসছে। এগুলি খুব শক্তিশালী রেডিও তরঙ্গ, যা সেকেন্ডের হাজারতম হিসাবে শোনা যায়। এটি বিশ্বাস করা হয় যে এই রেডিও সংকেতগুলি বড় রহস্য এর জট খুলতে পারে।
২৮ শে এপ্রিল, আমাদের থেকে 30 হাজার আলোকবর্ষ দূরে একটি মৃত তারার কিছু আলোড়ন রেকর্ড করা গিয়েছিল। এটি এমন একটি উজ্জ্বল এবং উচ্চ-ফ্রিকোয়েন্সি রেডিও তরঙ্গ, যা পৃথিবী থেকেও স্পষ্ট ছিল। এটি গ্লোবাল এবং স্পেসের এক্স-রেতেও ধরা পড়েছে। কোনও নক্ষত্র থেকে শোনা এটি এই জাতীয় ধরণের প্রথম শব্দ। কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে এটি দ্রুত রেডিও ফাটানো (এফআরবি) সম্পর্কিত তথ্য সরবরাহ করবে। প্রসঙ্গত, এর আগে যে সংকেতগুলি পাওয়া গেছে, তারা অন্য একটি ছায়াপথ থেকে আসত, তবে আমাদের নিজস্ব গ্যালাক্সির তারা থেকেই এই নতুন সংকেত আসছে।
কিছু হাইপোথোসিস অনুসারে, এই ভয়েস এবং লাইটগুলি সুপারনোভা থেকে এলিয়েনের সংকেত হতে পারে। একই সাথে কিছু বিজ্ঞানী বিশ্বাস করেন যে এটি একটি বিশেষ ধরণের নক্ষত্রের ইঙ্গিত যা ম্যাগনেটারস বলে। এঁরা এমন তারা, যাদের চৌম্বকীয় শক্তি পৃথিবীর চেয়ে ট্রিলিয়ন এবং ট্রিলিয়ন কোটি বেশি শক্তিশালী। অর্থাৎ, যদি এই উত্সটি চাঁদের দূরত্বের কাছে পড়ে যায় তবে এটি বসে থাকার সময় এটি আপনার পকেট থেকে আপনার চাবিটি টানবে, অর্থাৎ, পৃথিবী পুরোপুরি ধসে পড়বে।
,