বাংলাহান্ট ডেস্ক : দীর্ঘদিন ধরেই জেলবন্দী অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন শাসক দলের দাপুটে নেতা অনুব্রত মণ্ডল। গরু পাচার চক্রের (Cattle smuggling) সঙ্গে তার নাম সরাসরি যুক্ত হতে পাল্টে গিয়েছে বীরভূমের কেষ্টর দিন যাপন। এবার জেল থেকে হাসপাতালে যাবার পথেই অনুব্রত তার বর্তমান শারীরিক অবস্থার কথা জানালেন। জেলের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি ২ মাস অন্তর জেলবন্দিদের হাসপাতালে চেকআপ করা হয়।
রেগুলার চেকআপের জন্যই অনুব্রত মণ্ডলকে আসানসোল জেলা হাসপাতালের (asansol district hospital) ইমার্জেন্সি বিভাগে আনা হয়। তার আগেই কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার চত্বরে ছিল সাংবাদিকদের উপচে পড়া ভিড়। অনুব্রত মণ্ডলকে দেখতেই সেখানে জড়ো হওয়া সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করেন, ‘কেষ্ট দা, শরীর কেমন আছে?’ জবাবে অনুব্রত বলেন, ‘শরীর একদম ভালো নেই।’
ঠিক কী হয়েছে কেষ্টর ? আপাতত অনুব্রত মণ্ডলের (anubrata mondal) সুগার, রক্তচাপ, ফিসচুলা -সহ মোট ৩৭ রকমের ওষুধ চলছে। একই সাথে তার জন্য সংশোধনাগারের মেডিক্যাল ওয়ার্ডে নিবুলাইজার ও অক্সিজেন কনসিন্টারেটর রাখা রয়েছে। যদিও, স্বাস্থ্যপরীক্ষার পর চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শারীরিক দুর্বলতা থাকলেও স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কোন গুরুতর জটিলতা এই অবস্থায় নেই।
এদিকে, গত ১৭ নভেম্বর ইডির সাড়ে ৫ ঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর থেকেই তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন বলে খবর। তারপরেই বুকে ব্যথা উঠেছিল তাঁর। তবে, শুক্রবার সিবিআই আধিকারিকদের পক্ষ থেকে আরোও চাঞ্চল্যকর তথ্য জমা দেওয়া হয়েছে আদালতে। সিউড়ি সেন্ট্রাল কো অপারেটিভ ব্যাঙ্কে ৪৪৫টি ভুয়ো অ্যাকাউন্টের হদিশ মিলেছে বলেও জানা গিয়েছে।
সিবিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই অ্যাকাউন্টগুলিতে ঘনঘন পাঁচ থেকে ছয় লাখ টাকা জমা করার পরেই সেই অ্যাকাউন্টগুলি থেকে অন্য পাঁচটি অ্যাকাউন্টে ঘুরপথে টাকা গিয়েছে। অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি শুক্রবার আদালতে কঙ্কালীতলায় কেনা একটি জমির দলিল ও পেশ করেছে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার দাবি, গোরুপাচারের টাকা দিয়ে সেই জমিগুলি কেনা হয়েছে।