বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝড়বৃষ্টির জেরে দাবদাহ গরম থেকে রেহাই পেয়েছে দক্ষিণবঙ্গবাসী (South Bengal Weather)। বিগত কয়েকদিন ধরে রাজ্যজুড়ে বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি (Rainfall Alert) হচ্ছে। যার জেরে নিম্নমুখী তাপমাত্রার পারদ। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, আগামী কয়েকদিন একইরকম থাকবে আবহাওয়া। সেই সঙ্গেই আবার জানানো হয়েছে নিম্নচাপের সম্ভাবনার কথা। আগামী ২৭ মে পশ্চিম মধ্য ও তার সংলগ্ন উত্তর বঙ্গোপসাগরে একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে বলে পূর্বাভাস (Weather Update)।
দক্ষিণবঙ্গে কতদিন ঝড়বৃষ্টি চলবে? (South Bengal Weather)
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, আগামী ২৭ মে একটি নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর জেরে সপ্তাহভর বজ্রবিদ্যুৎ সহ ভারী বৃষ্টি হতে পারে। ২৭ তারিখ থেকে উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, পূর্ব মেদিনীপুর ও পশ্চিম মেদিনীপুরে ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস। সপ্তাহভর এই ৪ উপকূলীয় জেলায় বর্ষণ হতে পারে বলে জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গেই রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি ও ৪০-৫০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে।
শুক্রবারও দক্ষিণবঙ্গের (South Bengal) একাধিক জেলায় ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। আজ নদিয়া, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ ও পশ্চিম বর্ধমানে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বাকি জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্ত বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। আগামীকাল উত্তর ২৪ পরগণা, দক্ষিণ ২৪ পরগণা ও মেদিনীপুরে বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হতে পারে। রবিবার ভিজতে পারে নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম।
আরও পড়ুনঃ ‘বাংলায় তৃণমূলের মুসলিম নেতাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা চলছে’! কীসের জন্য? বোমা ফাটালেন সুকান্ত
দক্ষিণবঙ্গের পাশাপাশি উত্তরের (North Bengal) নানান জেলাতেও বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। আগামী ২৮ মে অবধি উত্তরের নানান জেলায় বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সেই সঙ্গেই দোসর হতে পারে ঝোড়ো দমকা হাওয়া।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, আগামী ২৭ মে থেকে দক্ষিণবঙ্গের প্রত্যেকটি জেলায় বজ্রবিদ্যুৎ সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর সঙ্গে কোনও জেলায় ৩০-৪০ কিমি/ঘণ্টা বেগে ঝোড়ো হাওয়া, কোথাও আবার ৪০-৫০ কিমি/ঘণ্টা বেগে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে।
উল্লেখ্য, বৈশাখের শুরু থেকেই দাবদাহ গরমে পুড়ছিল বাংলা (South Bengal Weather)। বিগত কয়েকদিনের বৃষ্টির জেরে সেই গরম থেকে অনেকটাই রেহাই মিলেছে। আগামী কয়েকদিন আবহাওয়া মোটের ওপর একই থাকবে বলে পূর্বাভাস। অর্থাৎ এখন তাপপ্রবাহের মতো পরিস্থিতির সম্ভাবনা নেই বলেই মনে করা হচ্ছে।