ভয়ংকর বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তর ভারত! প্রাণ হারালেন ৩৪, জলের তলায় দিল্লি – সিমলা হাইওয়ে

বাংলা হান্ট ডেস্ক : প্রবল বর্ষণে (Heavy Rainfall) উত্তর ও পশ্চিম ভারতে শুরু হয়েছে বিপর্যয়। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হিমাচল প্রদেশসহ (Himachal Pradesh) পার্বত্য রাজ্যগুলো। টানা বর্ষণে গত ২৪ ঘণ্টায় ভূমিধস গুঁড়িয়ে গেছে একাধিক বাড়ি ধসে গিয়েছে। ধসে গেছে অসংখ্য গাছপালা। প্রবল বজ্রপাতে ৩৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। হিমাচল প্রদেশে সর্বাধিক ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া উত্তর প্রদেশে ৮ জন, উত্তরাখণ্ডে ৬ জন, দিল্লিতে (Delhi) ৩ জন, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu and Kashmir), হরিয়ানা (Haryana) ও পাঞ্জাবে (Punjab) দুজন করে মারা গেছেন।

হিমাচলের মান্ডিতে বিয়াস নদীর স্রোতে ভেসে গেছে ৪০ বছরের পুরনো একটি সেতু। ইতিহাস বলছে, ৪১ বছর পর জুলাই মাসে একদিনে ১৫৩ মিলি মিটার বৃষ্টি হয়েছে দিল্লিতে। বৃষ্টির জেরে ১৭টি ট্রেন বাতিল করেছে রেল মন্ত্রক। ১২ টি ট্রেনের যাত্রাপথ বদলাতে হয়েছে।

পাহাড়ি রাজ্যে প্রবল ভূমিধসের ফলে রাস্তাগুলি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে, অন্যদিকে রাজধানী দিল্লি সহ সমতল রাজ্যগুলির রাস্তাগুলি জলে তলিয়ে গেছে৷ এ কারণে যান চলাচলে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। দিল্লিতে যমুনার জল বিপদসীমার কাছাকাছি পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ পাঞ্জাব, হিমাচলের মুখ্যমন্ত্রী এবং দিল্লি ও জম্মু ও কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের সাথে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি মোকাবেলায় কেন্দ্র থেকে সম্ভাব্য সব ধরনের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।

north india 2

২৪ জুন হিমাচল প্রদেশে বর্ষা ঢোকার পর থেকেই ব্যাপক ধ্বংসলীলা চলছে। শনিবার গভীর রাতে মান্ডি ও কুল্লুতে মেঘের আঘাতে হঠাৎ বিয়াস নদীতে জল বেড়ে যায়, যাতে তিনটি সেতু, একটি এটিএম এবং চারটি দোকান ভেসে যায়। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী বৃষ্টির জন্য লাল ও কমলা সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর।

পাঞ্জাবের অনেক এলাকায় ট্র্যাকে জলাবদ্ধতার কারণে আম্বালা থেকে উনা-আম্ব-দৌলতপুর চকের দিকে আসা বন্দে ভারত সহ অন্যান্য ট্রেনের চলাচল স্থবির হয়ে পড়ে। শ্রীখণ্ড মহাদেব যাত্রা দুই দিনের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। রাজস্থানের হনুমানগড়ে ছয় ইঞ্চি জল পড়েছে। অন্যদিকে, ঝুনঝুনু এবং সিকারে বন্যার মতো পরিস্থিতি রয়েছে।

মেঘ বিস্ফোরণের পর বিয়াস নদীতে আকস্মিক বন্যায় কুল্লু-মানালিতে বেশ কিছু যানবাহন ভেসে গেছে। মানালি-লেহ, চণ্ডীগড়-মানালি সহ পাঁচটি জাতীয় মহাসড়ক, ভূমিধসের কারণে ৭৬৩ রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে। হেরিটেজ কালকা-সিমলা ট্র্যাকে ধ্বংসাবশেষ পড়ার কারণে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে।


Sudipto

সম্পর্কিত খবর