বাংলাহান্ট ডেস্ক: মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun chakrabarty), নামটা টলিউডে যেমন পরিচিত, বলিউডেও (Bollywood) ততটাই জনপ্রিয়। মিঠুনের অভিনয় জগতের যাত্রার শুরুই বলিউডের হাত ধরে। একটা সময় হিন্দি সিনেমার জগতে রীতিমতো রাজ করেছেন তিনি।তাঁর সঙ্গে এক ছবিতে অভিনয় করার জন্য মুখিয়ে থাকত তাবড় তাবড় অভিনেত্রীরা।
কিন্তু বাংলার এই ছেলের নামের সঙ্গে জনপ্রিয়তার পাশাপাশি বিতর্কও কম জড়িয়ে নেই। একাধিক প্রেম, সম্পর্ক ও বিবাহের অভিযোগ রয়েছে মিঠুনের নামেও। জনপ্রিয় অভিনেত্রী যোগিতা বালির সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েন অভিনেতা। কিন্তু তার আগেও এক অভিনেত্রীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন মিঠুন।
১৯৮০ সালে ‘জুদাই’ ছবির অভিনেত্রী হেলেনা লিউকই হলেন মিঠুনের প্রথম স্ত্রী। তবে এই বিয়ের কথা অনেকেই জানেন না। লুকিয়েই বিয়েটা সেরেছিলেন মিঠুন ও হেলেন। কিন্তু তাঁদের সংসার টেকেনি। মাত্র ৪ মাস পর ভেঙে যায় দুজনের দাম্পত্য সম্পর্ক। হেলেনাকে বিচ্ছেদ দিয়ে যোগিতার সঙ্গে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন অভিনেতা।
এ তো গেল বিয়ের গল্প। বিয়ের আগে সম্পর্কও নেহাৎ কম ছিল না মিঠুনের। হেলেনার সঙ্গে বিয়ের আগে অভিনেত্রী সারিকার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল তাঁর। শ্রীদেবীর সঙ্গে মিঠুনের সম্পর্ক নিয়ে তো চর্চা ছিল তুঙ্গে। এমনকি বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও শ্রীদেবীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিলেন অভিনেতা। একথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন মিঠুন।
একবার একটি সাক্ষাৎকারে মিঠুন নিজেই জানিয়েছিলেন শ্রীদেবীর সঙ্গে তাঁর বিয়ের কথা। যোগিতা বালির সঙ্গে বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও গোপনে শ্রীদেবীকেও বিয়ে করেছিলেন তিনি। উপরন্তু এই কথা জানতে বাকি ছিল না যোগিতা বালিরও।
জানা যায়, শেষ পর্যন্ত তাঁর জন্যই শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করতে বাধ্য হন মিঠুন। তিনি অভিনেতাকে হুমকি দিয়েছিলেন যদি এই সম্পর্ক তিনি এগিয়ে নিয়ে যান তবে তিনি আত্মহত্যা করবেন। সংসার বাঁচাতে মিঠুন বাধ্য হন শ্রীদেবীর সঙ্গে সম্পর্ক বিচ্ছেদে।