বাংলাহান্ট ডেস্ক: গান থেকে অভিনয়, হিরো আলম (Hero Alom) আছেন সবেতেই। বাংলাদেশের জনপ্রিয়তম ইউটিউবারদের মধ্যে একজন তিনি। একাধারে অভিনয় করেন, গান করেন হিরো আলম বহুমুখী প্রতিভা। তাঁকে নিয়ে ট্রোল, হাসাহাসি কম হয়না নেটমাধ্যমে। দুই বাংলার অনেক মানুষের কাছেই ‘হাসির পাত্র’ তিনি। কিন্তু ট্রোল যতই হোক না কেন, হিরো আলমকে উপেক্ষা করা সম্ভব নয়, এটা সকলেই স্বীকার করবেন।
এতদিন তাঁর কণ্ঠে অনেক ধরনের গানই শুনেছেন নেটিজেনরা। টাইটানিকের জনপ্রিয় গান থেকে শুরু করে ‘শ্রীভল্লি’, কাঁচা বাদাম এর হিন্দি ভার্সন, হিরো আলমের গাওয়া সব গানই ভাইরাল হয়েছে। নিজের মতো করে বেসুরে গলায়, ভুলভাল লিরিক্স দিয়ে গেয়ে হাসির পাত্রও হয়েছেন। কিন্তু থামেননি তিনি।
এবার রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার চেষ্টা করলেন বাংলাদেশি শিল্পী। যদিও নেটনাগরিকদের কটাক্ষ, গানটিকে ‘ধর্ষণ’ করেছেন তিনি। ‘আমার পরাণ যাহা চায়’ গানটি গেয়েছেন তিনি। গিটার বাজিয়ে অনেক কায়দাবাজি করে গান গাইতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু সেখানে না আছে সুর না আছে ঠিকঠাক লিরিক্স।
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই বিচিত্র সব কমেন্ট উড়ে এসেছে। কেউ বলছেন, ভাগ্যিস রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আর বেঁচে নেই। কেউ বলছেন, রবীন্দ্রসঙ্গীতকেও নিজের মতো করে বানিয়ে নিয়েছেন হিরো আলম। এই দিনও দেখতে হল! কেউ কেউ আবার আরেক কাঠি উপরে গিয়ে কটাক্ষ করেছেন, গানটার ‘ধর্ষণ’ করে দিলেন হিরো আলম!
যদিও সমালোচনা বাড়তেই একটি ভিডিও বার্তা দিয়েছেন হিরো আলম। তিনি বলেন, “আমি গায়ক বা শিল্পী নই। সেই দাবি আমি কখনো করিনি, করছিও না। আমি শুধু বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করি।” তিনি আরো বলেন, সবার মতো তিনি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গানের ভক্ত। তিনি যেহেতু সব ভাষায় গান গেয়েছেন তাই চেষ্টা করছিলেন রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েও অনুরাগীদের উপহার দিতে।
এরপরেই সুর বদলান হিরো আলম। তাঁর স্পষ্ট কথা, “আমি বাঙালি। সবার মতো আমারো রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার অধিকার আছে। আমি আমার মতো করে সেটাই চেষ্টা করছিলাম। যদি কোনো ভুল হয় তাহলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। হিরো আলম যখন এই পৃথিবীতে থাকবেন না তখন আপনারাই এই গান গুলো শুনে আমার কথা মনে করবেন।”