এইজন‍্যই ডুবে গিয়েছিল টাইটানিক! হিরো আলমের শুটিং ভিডিও দেখে কপাল চাপড়াচ্ছেন নেটিজেনরা

বাংলাহান্ট ডেস্ক: নেটনাগরিকদের চমক দিতে ছাড়েন না হিরো আলম (Hero Alom)। কখনো মিউজিক ভিডিও বানিয়ে, আবার কখনো গান গেয়ে মনোরঞ্জন করার চেষ্টা করেন তিনি। এর জেরে প্রায় প্রতিবারই হাসির পাত্র হন বটে, কিন্তু হাল ছাড়েন না হিরো আলম। সম্প্রতি ‘টাইটানিক’ (Titanic) এর জনপ্রিয় গান ‘এভরি নাইট ইন মাই ড্রিমস’ গেয়ে শুনিয়েছিলেন তিনি।

শুধু গান গেয়েই অবশ‍্য ক্ষান্ত থাকেননি হিরো আলম। মিউজিক ভিডিও বানিয়েছেন, তাও আবার টাইটানিক ছবির কিছু আইকনিক দৃশ‍্যের অনুকরণে। কতটা সফল হয়েছেন তিনি সেটা অবশ‍্য দর্শকরাই ভাল বলতে পারবেন। আর তাই গোটা শুটিং পর্বেরও আলাদা একটি ভিডিও বানিয়ে আপলোড করেছেন বাংলাদেশের এই জনপ্রিয় নায়ক।

IMG 20220216 182546 1
হিরো আলমের অন‍্যান‍্য ভিডিওগুলির মতো এটাও ট্রোলের শিকার হয়েছে। একজন প্রশ্ন করেছেন, জীবনে আর কী করা বাকি আছে হিরো আলমের? আরেকজন মশকরা, এই দিন যাতে দেখতে না হয় তাই টাইটানিক ডুবে গিয়েছে। আরেকজন আবার রীতিমতো ক্ষুব্ধ হয়ে আর্জি জানিয়েছেন, টাইটানিকের মতো ট্র‍্যাজিক ছবিকে এভাবে ‘আবর্জনা’ বানিয়ে ফেলবেন না!

সম্প্রতি নিজের আত্মজীবনী লিখেছেন হিরো আলম। ব‍ইয়ের নাম ‘দৃষ্টিভঙ্গি বদলান আমরা সমাজকে বদলে দেব’। প্রচ্ছদে জ্বলজ্বল করছে হিরো আলমের ছবি। জানা যাচ্ছে, একুশে গ্রন্থমেলায় প্রকাশিত হবে এই বই। নিজের আত্মজীবনী সম্পর্কে হিরো আলম বলেন, বইটি আত্মজীবনী বটে, তবে উদ্দীপনামূলকও বটে।

নিজের বই সম্পর্কে হিরো আলম বলেন, বইটি কেনা না কেনা বড় কথা নয়। তিনি সবাইকে অনুরোধ করবেন বইটি একবার হলেও পড়তে। তাঁর কথায়, “আমাকে নিয়ে অনেকেই হাসি ঠাট্টা করেন, ট্রোল করেন। কিন্তু পর্দার পেছনের হিরো আলমকে কতজন চেনেন? আমার জীবনটা কতটা কষ্টের মধ‍্যে দিয়ে গিয়েছে বা কতটা পরিশ্রমের পর আমি হিরো আলম হয়েছি সেগুলো জানলে হয়তো আপনারা ট্রোল করতেন না। বরং উৎসাহ দিতেন।”

হিরো আলম বলেন, যদি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি না বদলায় তবে সমাজও বদলাবে না। হিরো আলম হয়তো থাকবে না কিন্তু তাঁর বইটি থেকে যাবে। তাঁর লেখা একদিন না একদিন সকলকে কাঁদাবে, এমনি দাবি করেছেন তিনি।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর