বাংলাহান্ট ডেস্ক: একবার নির্বাচনে দাঁড়িয়ে গোহারা হেরেছেন তিনি। তবুও হার মানতে রাজি নন হিরো আলম (Hero Alom)। আমজনতার পাশে দাঁড়াতে আবারো নির্বাচনে দাঁড়াতে চলেছেন বাংলাদেশের এই বিতর্কিত তথা চর্চিত গায়ক। আসন্ন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াবেন হিরো আলম।
কয়েক মাস আগে মোঃ আশরাফুল হোসেন ওরফে হিরো আলমের ভোটে দাঁড়ানো নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল ওপার বাংলায়। বগুড়া-৬ (সদর) এবং বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) এই দুটি আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। জনপ্রিয় মুখ নির্বাচনে দাঁড়ানোয় হইচইও হয়েছিল তাঁকে নিয়ে। কিন্তু তাতে অবশ্য লাভ হয়নি। দুই কেন্দ্র থেকেই পরাজিত হন তিনি।
বগুড়া-৪ আসন নিয়ে অবশ্য আশাবাদী ছিলেন হিরো আলম। সেখানে সুষ্ঠ ভাবে নির্বাচন হচ্ছে বলে জানিয়ে তিনি বলেছিলেন, কাহালু নন্দীগ্রামের সাংসদ তিনিই হবেন। কিন্তু ভোট গণনা শেষে দেখা যায় ১৪ দলীয় জোটের প্রার্থী এ কে এম রেজাউল করিম তানসেনের কাছে ৮৩৪ ভোটে হেরে গিয়েছেন হিরো আলম।
চার মাস কাটতেই ফের ভোটের জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করে দিয়েছেন হিরো আলম। আলম ফারুকের মৃত্যুর পর তাঁর আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাঁড়াতে চলেছেন হিরো আলম। আগামী ১৩ জুন মনোনয়ন পত্র জমা করতে যাবেন তিনি।
এ বিষয়ে সংবাদ মাধ্যমকে হিরো আলম বলেন, আগের বারেও তিনিই জিতেছিলেন। কিন্তু ষড়যন্ত্র করে জোর করে হারানো হয়েছিল তাঁকে। এবারে ফের নির্বাচনে দাঁড়িয়ে তিনি প্রমাণ করে দিতে চান যে তিনি সঠিক। নির্বাচনে দাঁড়ানোর জন্য তাঁর যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠলে হিরো আলম স্পষ্ট বলেন, হ্যাঁ এটা সত্যি যে তিনি সাংসদ হওয়ার যোগ্য নন। তবে এমনো অনেক মানুষ আছে যারা অযোগ্য হয়েও গুরুত্বপূর্ণ পদে রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, দুই বাংলাতেই সমান জনপ্রিয় হিরো আলম। হ্যাঁ, তাঁকে নিয়ে ঠাট্টা, তামাশা, নিন্দামন্দও কম হয় না। কিন্তু হিরো আলমের যে একটা আলাদা ফ্যানবেস রয়েছে সেকথা স্বীকার করতেই হবে। হিরো আলমকে পছন্দ করুন বা নাই করুন, উপেক্ষা করা যায় না।
আগে শুধু অভিনেতা ছিলেন হিরো আলম। এখন তিনি গায়কও। রবীন্দ্রসঙ্গীত থেকে স্বরচিত, সব ধরণের গানই গান তিনি। তাতে সুর, কথা, তাল, লয় ঠিক থাকুক না থাকুক, জম্পেশ করে ভিডিও ঠিক বানিয়ে ফেলেন হিরো আলম। লোকের কথায় কান দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেন না তিনি।