1বাংলাহান্ট ডেস্ক : আসানসোলের শীত বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) বিরুদ্ধে রাজ্যকে এখনই অভিযোগ দায়ের করার অনুমতি দিল না কলকাতা হাই কোর্ট। শুক্রবার হাই কোর্টের বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের জানান, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর করতে চাইলে রাজ্যকে যথাযথ বেঞ্চে যেতে হবে। এ বিষয় নিয়ে এখনই কোনও অন্তর্বর্তী নির্দেশ দেবে না আদালত।
গত বুধবার আসানসোলে কম্বলদান কর্মসূচিতে পদপিষ্ট হয়ে ৩ জনের মৃত্যু হয়। সেই কড়মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার অনুমতি নিয়ে বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। তবে রাজ্যের সে আবেদন খারিজ করে দেয় শীর্ষ আদালত। এর পর কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব এবং বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার একক বেঞ্চের নির্দেশ পরিবর্তন করার আর্জিও জানানো হয়। প্রসঙ্গত, শুভেন্দুর বিরুদ্ধে ২৬টি এফআইআর-এর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি মান্থা। একই সঙ্গে তাঁর নির্দেশ ছিল, ভবিষ্যতে শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও এফআইআর করতে হলে আদালতের অনুমতি নিয়ে তবে করতে হবে।
শুক্রবার হাই কোর্টে রাজ্য জানায়, বিচারপতি মান্থা নির্দেশের শেষে জানান, আদালতের অনুমতি ছাড়া কোনও এফআইআর করা যাবে না। কিন্তু এই ঘটনায় অভিযোগ দায়ের করা অত্যন্ত জরুরি। যা নিয়ে বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের প্রশ্ন, ‘রাজ্য কি কোনও প্রাথমিক তদন্ত করছে? ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে? অভিযোগ দায়ের করার আগেও এগুলি হওয়া প্রয়োজন। এই সংক্রান্ত আর একটি মামলা প্রধান বিচারপতির এজলাসে বিচারাধীন। সে ক্ষেত্রে এই বেঞ্চ কি করবে? আপনারা কি ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিলেন চ্যালেঞ্জ করে?’ যদিও শুক্রবার আদালতে বিচারপতির এ সমস্ত প্রশ্নের স্পষ্ট কোনও উত্তর দিতে পারেনি রাজ্য। এর পরই এই মামলায় অন্তর্বর্তী কোনও নির্দেশ দেননি হাই কোর্ট।
প্রসঙ্গত, আসানসোলের বিপর্যয়কাণ্ডে ইতিমধ্যেই বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী চৈতালি তিওয়ারি-সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। এই অভিযোগের ভিত্তিতে কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক তথা আসানসোল পুরসভার বিরোধী নেত্রী চৈতালি-সহ বিজেপির কয়েক জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।