বাংলা হান্ট ডেস্ক : পুলিসি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী (Koustav Bagchi)। গত ৩ মার্চ গভীর রাতে তাঁর বাড়িতে যে ভাবে কলকাতার বড়তলা থানার পুলিস হানা দেয়, সেই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মঙ্গলবার সর্বোচ্চ আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কৌস্তুভ। আজ বুধবার বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসে শুনানি হল সেই মামলার।
কী বলল কোর্ট? জানা যাচ্ছে, কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তুভ বাগচীর বিরুদ্ধে এফআইআর-এর উপর স্থগিতাদেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আজ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার নির্দেশ অনুযায়ী আগামী চার সপ্তাহ এই মামলা স্থগিত থাকবে। এই সময়ের মধ্যে কৌস্তুভের বিরুদ্ধে নতুন করে কোনও পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিস।
https://twitter.com/BanglaHunt/status/1635936530673065984?s=20
আদালত সূত্রে খবর, মধ্য রাতে কংগ্রেস নেতার বাড়ি গিয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে গ্রেফতার করার পদ্ধতি নিয়েই প্রশ্ন তোলেন বিচারপতি মান্থা। এই বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানার সঙ্গে যোগাযোগ করে আদালতে রিপোর্ট পেশ করার জন্য কলকাতার পুলিস কমিশনারকে নির্দেশ দেন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা।
বাংলা হান্টকে দেওয়া বিশেষ সাক্ষাৎকারে কৌস্তুভ বাগচী জানান, ‘আমাকে কোর্টে তোলা হয়। সেখান থেকেই আমি জামিন পেয়েছি। আমার মামলার জন্য আমি সওয়াল করিনি। আমার হয়ে ১৫০ জন আইনি দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন। আমার বিরুদ্ধে একটা চক্রান্ত হচ্ছে। বিভিন্ন থানায় মামলা হচ্ছে। আমি তো কোনও অন্যায় করিনি। আমি শুধু একটা বইয়ের বিষয়ে বলেছিলাম। বইটি তো বাজারে ব্যান নয়। আমি আইন মেনেই কাজ করেছি। রাজ্য সরকার যেটা করেছে সেটা আইন বিরুদ্ধ হয়েছে। বিচারপতি রাজশেখর মান্থার রায়েও তা স্পষ্ট। প্রতিবার রাজ্য সরকার অপদস্থ হয়, এবারেও হবে।’
ভোররাতে কৌস্তুভের ব্যারাকপুরের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিস। হুমকি এবং অশান্তি ছড়ানোর অভিযোগে ৪ মার্চ, শনিবার সকালে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ‘বিনা কারণে’ কলকাতার বড়তলা থানার পুলিস তাঁকে গ্রেফতার করে বলে দাবি করেন কৌস্তুভ। কংগ্রেস নেতার গ্রেফতারি ঘিরে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য রাজনীতি।