বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সরকারি কর্মীদের (Government Employees) নিয়ে বিরাট রায় দিল হাইকোর্ট (High Court)। লিভ এনক্যাশমেন্ট নিয়ে সরকারি কর্মচারীদের একটি মামলা উঠেছিল আদালতে। বিদর্ভ কোঙ্কন গ্রামীণ ব্যাঙ্কের চাকরি ছেড়ে দেওয়ায় নিজেদের জমে থাকা প্রিভিলেজ লিভ এনক্যাশ করতে পারেননি দুই সরকারি কর্মচারী। নিজেদের অধিকার বুঝে নিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তারা। আর সেখানেই মিলল স্বস্তি।
বম্বে হাই কোর্টে এই মামলা উঠলে বিচারপতি নিতীন জমাদার এবং বিচারপতি এমএম সত্যের ডিভিশন বেঞ্চ পর্যবেক্ষণে জানায়, লিভ এনক্যাশমেন্ট চাকরিজীবীদের অধিকার। মামলাকারী দুই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীকে তাদের জমে থাকা ‘প্রিভিলেজ লিভ’ এনক্যাশ করার অনুমতি দিয়েছে আদালত।
আদালতের মন্তব্য, ‘বৈধ সংবিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া লিভ এনক্যাশমেন্টের মতো অধিকার থেকে কোনো কর্মচারীকে বঞ্চিত করা যায় না।’ লিভ এনক্যাশমেন্ট আসলে একজন কর্মচারীর অধিকার। কর্মী তা উপার্জন করেছেন। তাই প্রিভিলেজ লিভ নিয়োগকর্তাকে বিক্রি করে তার পরিবর্তে টাকা পাওয়াও ওই কর্মীর অধিকার।
হাই কোর্ট নিজের নির্দেশ, বৈধ সংবিধিবদ্ধ বিধান ছাড়া যদি কোনো কর্মীর অধিকার খর্ব করা হয়, তাহলে তা সংবিধানের ৩০০এ ধারার লঙ্ঘন। একজন কর্মীর অধিকার কোনোভাবেই কেড়ে নেওয়া যায়না। উল্লেখ্য, ১৯৮৪ সালে অ্যাসিস্টেন্ট ম্যানেজার হিসেবে কাজে যোগ দেন দত্তরাম সাওয়ান্ত নামের এক কর্মচারী। ২০১৫ সালে তিনি চাকরি ছাড়েন।
আরও পড়ুন: ‘ভেঙে গুড়িয়ে দিন…’, ক্ষুব্ধ বিচারপতি সিনহা! এবার বিরাট নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট
ওদিকে ১৯৮৪ সালে ক্যাশিয়ার হিসেবে ব্যাঙ্কে যোগ দেন সীমা সাওয়ান্ত। তিনিও চাকরি ছাড়েন ২০১৫ সালে। দুই কর্মীই সব নিয়ম মেনে পদত্যাগ করেন। সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের থেকে তারা সন্তোষজনক কাজের ‘সার্টিফিকেট’ও পান। তবে লিভ এনক্যাশমেন্ট করতে পারছিলেন না তারা। এরপরই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ওই দুই কর্মী। অবশেষে তাদের পক্ষেই রায় দিল আদালত।