বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোটের মাঝেই মুখে হাসি ফুটল রাজ্য সরকারি কর্মীদের (Government Employees)। রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের গ্র্যাচুইটি নিয়ে বিরাট নির্দেশ হাই কোর্টের (High Court)। একজন সরকারি কর্মীর কর্মজীবনের অর্থাৎ কত সময় তিনি কাজে নিযুক্ত ছিলেন সেই ভিত্তিতে গ্র্যাচুইটি (Gratuity) দিতে হবে সরকারকে। এক্ষেত্রে কোনো বয়সের বিষয় দেখা হবে না। অর্থাৎ কোন বয়সে তিনি সরকারি কর্মী অবসর গ্রহণ করছেন, তার সঙ্গে গ্র্যাচুইটি দেওয়ার কোনও সম্পর্ক নেই। সম্প্রতি রাজ্য সরকারি কর্মচারীর করা এক মামলায় এমনটাই জানিয়ে দিল হাইকোর্ট।
উত্তরপ্রদেশের এক সরকারি কর্মীর করা মামলা নিয়ে গ্র্যাচুইটির বিষয়টি স্পষ্ট করল হাইকোর্ট। ওই রাজ্যের সেহরুন নিশা নামক এক সরকারি শিক্ষিকা ৫৭ বছর বয়সে অবসরগ্রহণ করেছিলেন। ৬০ বছরের আগে অবসর নেওয়ায় প্রয়াগরাজ জেলার পেনশন বিষয়ক যুগ্ম ডিরেক্টর এবং সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকারিক সেই শিক্ষিকার গ্র্যাচুইটির আবেদন খারিজ করে দেয়। এরপরই এলাহাবাদ হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন ওই শিক্ষিকা।
আদালতে শিক্ষিকার আইনজীবীর যুক্তি, ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর জারি করা সরকারি আদেশ অনুসারে গ্র্যাচুইটির আবেদন খারিজ করা উচিৎ নয়। সেই নিয়মানুসারে, ৬০ বছর বয়স অবসর গ্রহণ করা কর্মীরাই গ্র্যাচুইটির জন্য যোগ্য। এই বিষয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘ নিয়মের আসল মর্মই বুঝতে পারেননি প্রয়াগরাজ ডিভিশনের পেনশন দফতরের জয়েন্ট ডিরেক্টর এবং জেলার সংখ্যালঘু কল্যাণ আধিকরিক।’
আরও পড়ুন: কুন্তল হলেন কুণাল, তাপস মণ্ডল হলেন তাপস পাল আর দলপতি হলেন কুলপতি! বনগাঁর ঘটনায় শোরগোল
হাইকোর্ট স্পষ্ট জানায়, সরকারি নিয়মের ব্যাখ্যা ভুল। কোনো সরকারি কর্মী তাদের কর্মজীবনের বছর অনুযায়ী গ্র্যাচুইটি পাওয়ার যোগ্য। উল্লেখ্য, সরকারের যুক্তি ছিল, নিয়ম অনুযায়ী ৬০ বছর বয়সে অবসর নিলে তবেই সরকারি কর্মীরা গ্র্যাচুইটি পাবেন। এই যুক্তি খারিজ করে আদালত মামলাকারীকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গ্র্যাচুইটির টাকা মিটিয়ে দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে। গ্র্যাচুইটি নিয়ে হাইকোর্টের দেওয়া নির্দেশের ফলে অনেকটাই স্বস্তিতে রাজ্য সরকারি কর্মীরা।